পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যর নাম করে এবার চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠল

বাগদা (Bagda), বনগাঁ (Bongaon), নদিয়ার (Nadia) পর, এবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলেও (Mahishadal) হদিশ মিলল আরেক রঞ্জনের (Ranjan)। যাঁর বিরুদ্ধে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্যর নাম করে প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teacher) চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাকরি (Job) বিক্রির কথা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত। তবে সেই ভিডিও (Video) সামনে আসার পর থেকেই বেপাত্তা তিনি। 


নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় ইডি’র হাতে বন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত মানিক ভট্টাচার্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যর নাম করে এবার চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠল। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে এবার খোঁজ মিলল ‘নতুন রঞ্জনের’। 

যিনি নিজে মুখে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। সাফ জানিয়েছেন তিনি নিজের 'সোর্সে' চাকরি দিতেন। প্রাইমারিতে ২০-২৫ জনকে চাকরিঅ করে দিয়েছেন বলে কবুল করেছেন তিনি। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, বনগাঁ এবং নদিয়ায় রঞ্জনের খোঁজ মিলেছিল অর্থাৎ যাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল। যদিও চাঞ্চল্যকর এই ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই বেপাত্তা মহিষাদলের ‘রঞ্জন’ অর্থাৎ দেবপ্রসাদ শেনী। 
মহিষাদলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে, চাকরি দেওয়ার কথা বলে, ৫ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা অবধি নিতেন দেবপ্রসাদ। তার মধ্যে কয়েকজনের চাকরি হয়। যাঁদের চাকরি হয়নি, তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগকারীদের দাবি, থানায় বসে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই দেবপ্রসাদ। তারপর ৫ বছর কেটে গেলেও, চাকরি কিংবা, টাকা কিছুই মেলেনি। 

তাঁদের যে চেক দেওয়া হয়, তা-ও বাউন্স করে বলে অভিযোগ। যদিও, অভিযুক্তের দাবি, তিনি টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। নিয়োগ-দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দেবপ্রসাদ শেনী বলেন, "উনি টাকা দিয়েছেন। ওঁকে টাকা ফেরত দিয়েছি। থানায় বসাবসি হয়েছে। যেটুকু বাকি উনি ফেরত নিয়ে নেবেন। কোনও অসুবিধা নেই। থানায় বসার পরও, টাকা ফেরত নেওয়ার পরও, আবার চাকরির জন্য আসছে।" 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours