আইনজীবীদের দাবি, 'যে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নাম রয়েছে গরু পাচার মামলায়। সিবিআই সেই মামলার তদন্ত করছে। তিনি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি।'
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকির অভিযোগ ঘিরে বুধবার শোরগোল পড়ে যায়। সেই ঘটনারই জের গড়াল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অনুব্রত মণ্ডলের মামলা ভিনরাজ্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানানো হল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ৮২ জন আইনজীবী চিঠি দিয়ে জানান, অনুব্রত মণ্ডলের মামলা এ রাজ্য থেকে সরানো হোক। প্রধান বিচারপতি এনভি রমণকে লেখা চিঠিতে ওই আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ রাজ্যে এই মামলা সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট চাপের।
ওই আইনজীবীরা তাঁদের আবেদনে লেখেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই কোর্টের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে একজন সেই চিঠি লিখেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই আইনজীবীদের বক্তব্য, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন না হলে এনডিপিএস (Narcotic Drugs and Psychotropic Substances Act) মামলায় ফাঁসানো হবে বিচারককে।
আইনজীবীদের দাবি, ‘যে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নাম রয়েছে গরু পাচার মামলায়। সিবিআই সেই মামলার তদন্ত করছে। তিনি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি।’ তাঁদের দাবি, সে কারণে বাংলায় সুষ্ঠুভাবে মামলা চালানো কঠিন। প্রসঙ্গত, বুধবারই অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল সিবিআই আদালত।
সূত্রের খবর, আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক যে অর্ডার লিখেছেন, তাতে বলা হয়েছে, “অনুব্রত মণ্ডলের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব প্রশ্নাতীত। এখনও পর্যন্ত তদন্ত যতদূর এগিয়েছে, তাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পোক্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বর্তমান সময়ে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব প্রশ্নাতীত। সব দিক বিবেচনা করা আমার মনে হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে জামিন দেওয়া সঠিক হবে না। সেই কারণে জামিনের আবেদন খারিজ করা হল।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours