কাঁকুড়গাছি হিংসাকাণ্ডের ছায়াই কি নারকেলডাঙায় ? সেটাই কি মনে করিয়ে দিতে চায়,  ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার ঘটনায় দুষ্কৃতিরা ? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নারকেলডাঙার ঘটনায় (Narkeldanga Violence) ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিকে ভয়াবহ এহেন মুহূর্তে ইতিমধ্যেই 'অভিজিৎ-র মতো অবস্থা হবে', বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে আক্রান্তকে। 'বিজেপি করার অপরাধে'-এই হামলার অভিযোগ। হুমকিতে বলা হয়, 'যেভাবে অভিজিৎ সরকারকে মারা হয়েছে, সেরকমই অবস্থা হবে।' কিন্তু কে এই  অভিজিৎ সরকার ?

 'অভিজিৎ-র মতো অবস্থা হবে', কে এই  অভিজিৎ সরকার ?

কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার ছিলেন বিজেপির কার্যকর্তা। ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন অভিজিৎকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবার সূত্রে অভিযোগ ওঠে, শ্বাসরোধ করে মাথায় ভারী কিছু আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। সেসময় বিজেপি অভিযোগ তোলে, অভিজিৎকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় পরবর্তীতে সিবিআই আধিকারিকরা নিহত অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে গিয়ে এনিয়ে তদন্তও করেন। অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে পুরষ্কৃত করা হবে। পরে এই তদন্তের পরে চার্জশিটও দাখিল হয়। আর এবার একুশের সেই ভোট 'পরবর্তী হিংসায় নিহত' , 'অভিজিৎ সরকারের মতো মতো অবস্থা হবে', বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে নারকেলডাঙার ঘটনাতেও বলে অভিযোগ। এদিকে এরআগেও নারকেলডাঙা থানার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল বিজেপি।   স্বাভাবিকভাবেই এবার অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি  এবং হামলার ঘটনায় সোমবার নারকেলডাঙা থানা ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। 

ঠিক কী হয়েছিল নারকেলডাঙায় ?

প্রসঙ্গত, নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলে দীপক দাসের অভিযোগ, প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁদের দেখা করতে ডেকেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং বিধায়ক পরেশ পাল। সে জন্য তাঁদের 'ছেলেরা এসে তলব' করে যায় বলে, দাবি শিবশঙ্করের। কিন্তু বাবা-ছেলে কেউই যেতে রাজি হননি। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় তাণ্ডব। অভিযোগ, 'প্রায় ২০০ মত ছেলে এসে আচমকাই তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং দীপককে বেধড়ক মারধর করা হয়।'যদিও কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে তিনি নারকেলডাঙা থানায় যান। এদিকে নারকেলডাঙা থানায় আরও অসুবিধা অপেক্ষা করছিল বলে, দাবি শিবশঙ্কর ও দীপকের। তাঁদের দাবি, থানায় অভিযোগ তো নেওয়া হয়নি। উল্টে  তাঁদের, 'আক্রান্ত দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।'অপরদিকে আজ শিয়ালদহ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরলে দেখেন যে,তাণ্ডব হয়ে গিয়েছে। দীপকের দাবি, তাঁর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছে হামলাকারীর দল। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। তিনি এই মুহূর্তের কলকাতার ইডেন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আরও অভিযোগ, মারধর করা হয়েছে বাড়ির শিশুদেরও

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours