মিছিলে (rally) আসবেন তো?' নেতাজি ইন্ডোরে (netaji indoor) পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন করলেন মুখ্যমন্ত্রীর (CM)। প্রায় গোটা স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে জবাব এল, 'হ্যাঁ।' কীসের মিছিল? রাজনৈতিক কোনও মিছিল যে নয়, একটু আগেই ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী (TMC Supremo)। তাঁর কথায়, 'মাকে বরণ করার জন্য মিছিল হবে।' দিন? আগামী ১ সেপ্টেম্বর। তার নীল-নকশাও স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

মিছিলের খুঁটিনাটি...
১ সেপ্টেম্বর বেলা ২টো থেকে মিছিল শুরু হবে। জোড়াসাঁকা ঠাকুরবাড়ি থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ ধরে ধর্মতলা পর্যন্ত যাওয়ার কথা সেটির। তাতে সামিল হতেই পুজো উদ্যোক্তাদের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে আর্জি, একাদশ-দ্বাদশের পড়ুয়াদেরও যেন নিয়ে আসা হয় যাতে এই ঐতিহ্য তারাও পড়ে ধরে পারে। মোট ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটবেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। যে যেমন চান, তেমন ভাবে আসতে পারেন। ‘রঙিন পোশাক-ছাতা নিয়ে মিছিল হতে পারে’, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শর্ত একটাই, মিছিল যেন রঙিন হয়। জানিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, 'কেমন ভাবে পুজো করেন, তা দেখতে বিদেশ থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন। মিছিল দেখতে থাকবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরাও।’ তাঁদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে নজর রাখার কথাও এদিন নেতাজি ইন্ডোরে হাজির পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের বলেন তৃণমূলনেত্রী। ১ সেপ্টেম্বরের মিছিলের জন্য দুপুর ১টার মধ্যে যাতে অফিস বন্ধ হয়ে যায়, সেটাও দেখার কথা বলেন তিনি। 

জেলাতেও মিছিল...
শুধু মহানগর নয়, একই দিনে রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতেও ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিলের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'কলকাতার মিছিলে যাদবপুর, বেহালা, হাওড়া ও সল্টলেক যোগ দেবে। বাকি জেলায় একই দিনে, একই সময়ে মিছিল হবে।' ডিএম, এসপি, আইসি, ওসি ও উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, 'প্রতি জেলায় কলকাতার মতো মিছিল করুন।’ এদিন পুজো কমিটিগুলির জন্য আরও কিছু ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, ‘সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুত্‍ বণ্টন নিগমকে বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দিতে বলেছি।‘ সঙ্গে সংযোজন, 'পুজো কমিটিগুলোর অনুদান বাড়িয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা করা হল।’ আর্থিক টানাটানির মধ্যেও যে রাজ্য সরকার এই ব্যবস্থা করেছে সেটাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

উৎসবের নির্ঘণ্ট...
দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে এবার ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি থাকবে, ঘোষণা করেন মমতা। সঙ্গে জানান, কলকাতায় ৭ তারিখের মধ্যে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর কার্নিভাল হবে ৮ অক্টোবর। অন্য দিকে জেলার পুজো কার্নিভালগুলো হবে ৭ অক্টোবর, আরও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। সব মিলিয়ে আজকের পর প্রশাসনিক ভাবে পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours