রুশদির লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর থেকে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। বই নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল বিশ্বজুড়ে।

আমেরিকায় সলমল রুশদির উপর আক্রমণকে কড়া ভাষায় নিন্দা করল ভারত। হামলার নিন্দার পাশাপাশি রুশদির দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছে ভারত। নিউ ইয়র্কে সাহিত্য সংক্রান্ত অনুষ্ঠান এক আততায়ী হামলা চালায় রুশদির উপর। এর পর এই হামলা নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। লেখকের উপর হামলার প্রতিবাদ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “হিংসা এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে সবসময় দাঁড়িয়েছে ভারত। সলমন রুশদির উপর হওয়া ভয়ঙ্কর আক্রমণের নিন্দা জানায়। এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” ১২ অগস্ট নিউ ইয়র্কের একটি প্রেক্ষাগৃহের মঞ্চে ৭৫ বছরের রুশদির উপর আক্রমণ করে এক আততায়ী। তাঁর নাম হাদি মাতার। ২৪ বছর বয়সি যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। সেই প্রেক্ষাগৃহের মঞ্চে উঠে ছুরি দিতে বার বার আঘাত করা হয় রুশদিকে। সেই আঘাতে লুটিয়ে পড়েন বর্ষীয়ান লেখক। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চের দখল নেয় পুলিশ। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। সেই আঘাতে রুশদির একটি চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

রুশদির লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর থেকে বিতর্ক ছড়িয়েছিল। বই নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। ১৯৮৯ সালে ইরানের শাসক আয়াতোল্লা রুহোল্লাহ খোমেইনি ফতোয়া জারি করেন। তার পর বহুদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন রুশদি। ব্রিটিশ পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছিল তাঁকে। রুশদির উপর সাম্প্রতিক হামলার পর ইউএস সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইরানের দিকে আঙুল তুলেছিল। এই হামলার পিছনে ইরানের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। যদিও রুশদিকে আক্রমণ করা হাদি মাতারের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে ইরান।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours