উত্তর আসানসোলের সেনরেলের বাসিন্দা চৈতালি মণ্ডল। তাঁর স্বামীর নাম শুকদেব মণ্ডল। শুক্রবার যখন ঘটনাটি ঘটে, চৈতালি বাড়িতেই ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে
আসানসোলে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। এক গৃহবধূকে লক্ষ্য করে এই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। নাম চৈতালি মণ্ডল। সূত্রের খবর, চৈতালি মণ্ডল জয়দেব মণ্ডলের ভাইয়ের বউ। জয়দেব মণ্ডল সেই ব্যক্তি, কয়লা পাচারকাণ্ডে যাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করে। পরেও জামিনও পান। আপাতত সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায় রয়েছেন তিনি। আপাতত কলকাতায় রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। তাঁরই পরিবারে এই ঘটনা ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। তবে মণ্ডল পরিবারের তরফে কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উত্তর আসানসোলের সেনরেলের বাসিন্দা চৈতালি মণ্ডল। তাঁর স্বামীর নাম শুকদেব মণ্ডল। শুক্রবার যখন ঘটনাটি ঘটে, চৈতালি বাড়িতেই ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত এ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি। এদিন ঘটনার পর চৈতালিকে সেনরেলে রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, তাঁর শরীরের দুই জায়গায় বুলেটের জখম রয়েছে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিতও করা হয়।

গত বছর কয়লা পাচারকাণ্ডে চারজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অনুপ মাজি ওরফে লালার নাম কয়লাকাণ্ডে জড়ানোর পরই জয়দেব মণ্ডল, নীরদবরণ মণ্ডল, গুরুপদ মাজি ও নারায়ণ নন্দের নাম তদন্তকারীরা জানতে পারেন। গত সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। জয়দেব মণ্ডল ও নারায়ণ নন্দের বাড়ি যথাক্রমে আসানসোল ও রানিগঞ্জে। গুরুপদ মাজির বাড়ি পুরুলিয়ায়, নীরদবরণ বাঁকুড়ার বাসিন্দা। কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত লালার সিন্ডিকেটের অন্যতম ‘শক্তি’ এই চারজন বলে সিবিআই জানতে পারে। অন্যদিকে আবার কিছুদিন আগে ইডি এই মামলায় ২৩ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এরমধ্যে লালা ঘনিষ্ঠ জয়দেব মণ্ডলের ১৫.৫০ কোটি টাকা, গুরুপদ মাজির ৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours