শাড়ি বিপণির মাধ্যমে ভিনদেশে টাকা পাঠানো হত কি না, সেই প্রশ্নই ঘুরছে ইডি আধিকারিকদের মনে। এর সঙ্গে অর্পিতার যোগ থাকার বিষয়টাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আগেই সামনে এসেছিল মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। তবে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই মামলার মোড় ঘুরে যায়। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার নোট উদ্ধার হওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে সেই টাকা উৎস নিয়ে। কোথা থেকে এই বিপুল টাকা আসত? সেই টাকা কোথায়, কী ভাবে খরচ করা হত? তা খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। সেই তদন্তেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, বারাসতের একটি শাড়ি বিপণি থেকে প্রচুর শাড়ি কিনে আনতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই বিপণির মাধ্যমে আদতে কি টাকা বাংলাদেশে পাচার করা হত, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের ওই শাড়ি বিপণি সংস্থায় প্রচুর টাকা বিনিয়োগও করতেন মন্ত্রী। তিনি নাকি প্রায়শই যেতেন ওই বিপণিতে। সেখান থেকে ফেরার সময়, তাঁর গাড়িতে নাকি তোলা হত অনেক শাড়ি। সেই সব শাড়ি কার কাছে যেত, সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ওই ওই বিপণির মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাঠাতেন পার্থ। অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বিদেশ ভ্রমণের যে তথ্য পেয়েছে ইডি, তার সঙ্গে এই বিপণিতে বিনিয়োগের কোনও যোগ আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ভাবেই কি বাংলাদেশে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হত? সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আধিকারিকরা।

যদিও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন বারাসতের বস্ত্র বিপণিতেই বেশি যেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তবে গড়িয়াহাটের একটি সংস্থার নামও সন্দেহের তালিকায় উঠে আসছে। ওই বিপণির মডেল হিসেবেও কাজ করেছিলেন অর্পিতা।

অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের পরই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। দেখা গিয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। শুধু অর্পিতা নয়, পেশায় অধ্যাপিকা মোনালিসা দাসের নামেও রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা থেকেই এই সম্পত্তি কি না, তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours