সেক আনোয়ার হোসেন,পাঁশকুড়া,আপনজন: প্রধান শিক্ষকের বদলি আটকাতে স্কুলে প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি প্রধান শিক্ষককে স্কুল ছেড়ে যেতে না দেওয়ার জন্য পায়ে পড়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল ছাত্রীদের। অফিসের দরজা পর্যন্ত লাগিয়ে দেয় ছাত্র ছাত্রীরা।

এমনকি তাঁরা ক্লাস ও দুপুরের মিডডেমিল পর্যন্ত বয়কট করে। অভিভাবকের মতো স্নেহ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আগলে রেখে এসেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চাঁপাডালি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নরেশ রানা। আর প্রধান শিক্ষকের এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পেয়ে তাঁকে নিজের আপনজন করে ফেলেছে স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই সেই শিক্ষকের স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়া অন্তর থেকে মেনে নিতে পারছে না ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। উত্‍সশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চাপাডালির হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নরেশ রানা নিজের বাড়ির কাছের স্কুলে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন আর সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে। কিন্তু চাঁপাডালি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের ভালোবাসা স্নেহ থেকে দূরে সরে থাকতে চাইছে না। আর সে কারণেই ছাত্র-ছাত্রী দরদী প্রধান শিক্ষকের অন্যত্র বদলি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না স্কুলের ছাত্র ছাত্রী থেকে অভিভাবকেরা।

শনিবার স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা এই স্কুলের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের দাবি তাদের প্রিয় প্রধান শিক্ষককে স্কুলেই থাকতে হবে। স্কুল ছেড়ে যেতে দেবে না তাঁরা। পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাপাডালি হাইস্কুলের ২০১০ সাল থেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন নরেশ রানা। যদিও নরেশ বাবুর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এর দশক গ্রাম এলাকায়। সে কারণেই তিনি নিজের এলাকার স্কুলে বদলি হয়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র ছাত্রী থেকে অভিভাবকেরা নরেশ বাবুকে ছাড়তে নারাজ। । স্কুলের শিক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষা কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যকলাপ মন কেড়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু শব্দের বেগ রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠে বদলির আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। তাই তিনি পাঁশকুড়ার চাঁপাডালি স্কুল ছেড়ে চলে যাবার প্রস্তুতি নেন। তখনই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তাকে ঘিরে তার চলে যাওয়া আটকে দেয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ওই প্রধান শিক্ষককে চলে যেতেই হবে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক নরেশ বাবু। প্রধান শিক্ষকের স্কুল পরিচালনার ভঙ্গিমা মন কেড়েছিল সকলের, তাই অবসর বয়স পর্যন্ত তাকে ওই স্কুলে থাকতে হবে এমনটাই দাবি ছাত্র-ছাত্রীদের।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours