'‌লিভ ইন'‌ সঙ্গিনীকে নিয়ে গেছিলেন দিঘায়।

রাতে আচমকাই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি। আর সারা রাত চুপচাপ সেই ঘরে বসেই কাটিয়ে দিলেন সঙ্গিনী। কাউকে জানতেও দিলেন না। পরের দিন সকালে ঠান্ডা মাথায় ডাকলেন হোটেলকর্মীদের। দেখে সবাই তাজ্জব।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সন্দেহজনক ঠেকায় সঙ্গিনীকে আটক করে জেরা শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রাম উপাধ্যায়। বয়স ৪৩ বছর। হুগলির বাসিন্দা। সঙ্গিনীর নাম মালা ঘোষ। বারাসতের ন'‌ পাড়ায় থাকেন। বয়স ২৬। মালা জানিয়েছেন, রামের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন। রবিবার দিঘা আসেন। রাতে হোটেলের ঘরে রাম মদ খেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মালা দিলে তাঁকে মরধর করেন। এর পর মালা বানরান্দায় চলে যান। পরে ঘরে এসে দেখেন রাম আত্মঘাতী হয়েছেন।
তবে মালা সঙ্গে সঙ্গে কাউকে খবর দেননি। পরের দিন সকালে হোটেলকর্মীদের ডেকে সব বলেন। পুলিশ এসে মালাকে আটক করে। তার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, মালা এক পানশালায় নাচ করেন। শুধু তাই নয়, রাম বিবাহিত। তিন সন্তানও রয়েছে। তিনি আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এখানে পরিবহনের ব্যবসা রয়েছে। তাঁর স্ত্রী অনিতা স্বামীর যে অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, জানতেন না।

রবিবার বলেছিলেন, হলদিয়ায় কাজ আছে। পরে রাতে ফোন করে বলেন, গাড়ি খারাপ হওয়ায় আটকে পড়েছেন। পরের দিন সকালে স্বামীকে ফোন করেন। ফোন ধরেন মালা। তিনি রামের আত্মহত্যার খবর দেন। অনিতা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। করেছে মালা আর এক জন। অনিতা মালা সম্পর্কে কিছু না জানলে এসব বলছেন কীভাবে?‌ এটাই প্রশ্ন পুলিশের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours