দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর এলাকার মধ্যেই পড়ে পাথরপ্রতিমা। সেখানকারই হেরম্ব গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের উপপ্রধান সুকুমার হাতি ওরফে বাবলু। পঞ্চায়েতে তাঁর বেশ সুনাম। কিন্তু গ্রামের মানুষের ভাল-মন্দের দায়িত্ব যার কাঁধে রয়েছে, সেই কিনা নিজের জন্মদাত্রীকে ঘরছাড়া করেছে!

শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। নিজের ছেলের অত্যাচারেই বাড়ি ছেড়েছেন, এমনটাই দাবি ৮৫ বছরের বৃদ্ধা অবলা হাতির। শাসক দলের উপপ্রধান হওয়ায় এলাকায় বেশ নামডাক রয়েছে সুকুমারবাবুর। শিক্ষিকা স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে বাস করেন বিশাল বাড়িতে। যার প্রধান দুয়ারের উপরে দু'দিকে বসানো রয়েছে দুটি হাতির মূর্তি। এমন মান সম্মানের অধিকারী সুকুমার হাতির বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠায় অবাক অনেকেই। শুধু বৃদ্ধা মা নয়, নিজের বোন চন্দ্রা হাতিও দাদার বিরুদ্ধে ঘরছাড়া করার অভিযোগ তুলেছেন। জানা গিয়েছিল, বৃদ্ধা ও তাঁর মেয়ে গ্রামেরই এক প্রান্তে একটি ছোট্ট ঘরে কোনওরকমে ঠাঁই নিয়েছেন। সেই ঘরটিও বৃদ্ধার নিজের নয়। অন্য একটি ছেলের। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১২টা নাগাদ বৃদ্ধা মা এবং তাঁর মেয়ে একই থালায় শুকনো মুড়ি চিবোতে চিবোতে সাংবাদিক দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।কাঁদতে কাঁদতে কথা বলতে গিয়ে উপপ্রধান ছেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। যদিও এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সুকুমার হাতি ওরফে বাবলু। কিন্তু ছেলের কথা যদি সত্যি হয় আর মায়ের যদি অগাধ সম্পত্তি থেকেও থাকে, তাহলে মা এবং বোন কেন ছেঁড়া জামাকাপড় পরে, শুকনো মুড়ি খেয়ে, কোনওরকমে একটা ছোট্ট ঘুপচির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন? এই প্রশ্নই তুলছেন এলাকার বহু মানুষ।


THE WALL 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours