ভুল চিকিত্‍সায় শিশুকন্যার মৃত্যুর অভিযোগে প্রবল উত্তেজনা তমলুকের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ভুল চিকিত্‍সার অভিযোগ তমলুক শহরের বিশিষ্ট এক চিকিত্‍সকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে ,তমলুকের বাসিন্দা শুভঙ্কর দাসের মেয়ের বয়স ৩ মাস ৬ দিন।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,বেশ কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল শিশুটি। সারাক্ষণ জ্বর থাকছিল না। মাঝেমধ্যেই জ্বর আসছিল। এলাকার বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ কবির আলি খানের কাছে নিয়ে যান শুভঙ্কর।

তাঁর তত্ত্বাবধানেই শিশুটির চিকিত্‍সা চলছিল। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন মাঝে সুস্থও হয়ে উঠছিল শিশুটি। মাঝে ফের
জ্বর আসে শিশুটির। শুভঙ্কর তাঁর মেয়েকে নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই চিকিত্সকের কাছে চেকআপ করাতে নিয়ে যান। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই ওই চিকিত্সক বসেন।

পরিবারের দাবি, চিকিত্সক শিশুটিকে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন দেন। অভিযোগ, এরপর সকাল থেকেই ফের জ্বর আসে শিশুটির। সন্ধ্যা বেলা শিশুটির নাক থেকে রক্ত বের হতে শুরু হয়। তড়িঘড়ি মেয়েকে তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান শুভঙ্কর। চিকিত্‍সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর চাউর হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বাচ্চাটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। চিকিত্সকের সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। কিন্তু কোনওভাবেই চিকিত্সক প্রথমে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

ওই সেন্টারের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তমলুক থানার পুলিশ। শিশুটির পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তাঁদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। যদিও পুলিশ কিংবা সেন্টারের কেউ সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চাননি।

সেন্টারেই কান্নায় ভেঙে পড়ে শিশুটির বাবা-মা। শুভঙ্কর দাস বলেন, “মেয়েটা আমার চোখের সামনে শেষ হয়ে গেল। ডাক্তারবাবুকে বারবার বলেছিলাম জ্বর কমছে না। মাঝে সুস্থ হয়ে উঠছিল। কিন্তু আবার জ্বর এল। তারপর নিউমোনিয়ার ইঞ্জেকশন দিল। আর সব শেষ। বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। রক্ত দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম। হাসপাতালে নিয়ে গেলাম মেয়েটাকে…সব শেষ।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours