খুনে তারপরও এলাকারই তরুণী সূচনার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই আখতারের স্ত্রী চড়াও হয় সূচনার ওপর। একই কায়দায় মদ খাইয়ে, ধর্ষণ ও মারধর  করে খুন করে স্ত্রী ও প্রেমিকাকে।

ঘটনার পরিণাম যে খুনে  গিয়ে শেষ হবে, তা আগে আঁচ করতে পারেননি সূচনার পরিবার। সূচনার বোন তনুশ্রী মণ্ডল অভিযোগ করেন, তাঁর দিদিকে খুনের আগেও মারধর করা হত। পাড়ার লোকেরা রুখেও দাঁড়ায়। তারপরই নিখোঁজ হয়ে যায় দিদি।গত ১লা সেপ্টেম্বর মাটিগাড়ার পরিবহন নগরের পাশে রাস্তার ধারে এক আদিবাসী গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করেও খুনের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তারপরই একটি ভয়েস কলের রেকর্ড ধরেই সামনে আসে মহম্মদ আখতারের নাম। গ্রেফতার করতেই পুলিশি জেরায় সে স্বীকার করে ধর্ষণ করেই খুন  করেছে সে। শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ফেলে দেয় রাস্তার ধারে। তার আগে মদও খাওয়ায় ওই গৃহবধূকে। বেশ কিছুদিন ধরেই তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আখতার।



গত শনিবার গ্রেফতারের পর পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিতেই নতুন রহস্য সামনে আসে। এক খুনের কিনারা করতে গিয়ে আর এক খুনের হদিস পায় পুলিশ। জেরায় আখতার স্বীকার করে চার মাস আগে প্রেমিকাকে খুন করে। একই কায়দায় মদ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে খুন। তারপরের ঘটনা আরও ভয়াবহ। খুনের পর কম্বল দিয়ে দেহ মুড়িয়ে মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেয় আখতার নিজেই।

জোড়া খুনে (Twin Murder) ধৃত আখতারের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে মাটিগাড়াবাসী। নিহত তরুণীর মা, বোনেরা চাইছে আর যেন কোনো মহিলার সঙ্গে এই ঘটনা করতে না পারে সে। ফাঁসির দাবি করেছে তারা। এলাকার অন্য বাসিন্দারাও ঘটনায় আতঙ্কিত, স্তম্ভিত। কঠোর শাস্তির দাবীতে সরব। ধৃতকে ফের জেরা করছে পুলিশ।আগেও নিয়মিত হুমকি ফোন আসত প্রেমিকার বাড়িতে। এমনকী জোড়া খুনে ধৃতের স্ত্রী সহ পরিবারের লোকেরা প্রেমিকার বাড়িতে এসে মারধরও করত, শাসানি দিত। এমনই অভিযোগ নিহত সূচনা মণ্ডলের বোনের। পেশায় কল মিস্ত্রি মহম্মদ আখতার হুসেন বিবাহিত।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours