দুর্গা পুজো আসতে বাকি আর মাত্র ক'দিন। চারিদিকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কোভিড বিধি মেনে অনেক পুজো কমিটির মণ্ডপ সজ্জার কাজও শুরু গিয়েছে। প্রত্যেক পুজো মণ্ডপেই গতবারের মতো এবারও কোভিড সচেতনতার টুকরো ছবি ফুটে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই এবার করোনা সচেতনতায় হাজির খোদ দুর্গা ঠাকুর। মুখে তাঁর ২০ গ্রামের সোনার মাস্ক (Golden Mask Durga)।

মাস্ক এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। এটা ছাড়া এক পা'ও বাইরে বেরোনোর কথা ভাবাই যায় না। মাস্ক পরার জন্য নিত্যদিন মানুষজনকে সচেতন করছে পুলিশ থেকে প্রশাসন সকলে। এই তালিকায় এবার এলেন দুর্গা ঠাকুর। হাতে ত্রিশূল, চক্রর বদলে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সিরিঞ্জ-সহ নানা চিকিত্‍সা সামগ্রী নিয়েই করোনাসুর বধ করবেন তিনি। মুখে তাঁরও থাকবে মাস্ক। মায়ের এই রূপের এবার দেখা মিলবে বাগুইআটির বন্ধু মহল ক্লাবের পুজো মণ্ডপে।

গতকাল পুজো কমিটির তরফে তাদের থিম প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে দুর্গা ঠাকুরের মুখে সোনার মাস্ক, হাতে থার্মাল গান, সিরিঞ্জ, স্যানিটাইজার-সহ চিকিত্‍সা সামগ্রী। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, মায়ের মুখে যে মাস্ক দেওয়া হয়েছে তা ২০ গ্রাম সোনা দিয়ে তৈরি। এই করোনা আবহে মানুষকে সচেতন করতে, মাস্ক পরা নিয়ে বার্তা দিতেই এবার এই থিম তাঁদের।

প্রত্যেকবারই দুর্গা পুজোয় মায়ের মূর্তি সোনার গয়না দিয়ে সাজায় অনেক পুজো কমিটি। কে কত সোনা দিয়ে সাজাচ্ছে, সে নিয়ে টক্করও হয় দেখার মতো। তবে, সোনার মাস্ক দিয়ে সাজানো বোধহয় এই প্রথম।

এবিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক তথা সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সি (Aditi Munshi) প্রতিমা উদ্বোধনের পরে বলছেন, প্রত্যেকটি মেয়ে বাংলার সোনার মেয়ে। প্রত্যেক বাবা-মায়েরই ইচ্ছে থাকে মেয়েকে সোনায় মুড়ে রাখি। সেই ভাবনা থেকেই এই থিমের জন্ম। এখানে মাস্কে সোনার ব্যবহার ধাতু হিসেবে নয়, মানুষকে সচেতন করতেই তা ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে এই প্যানডেমিকে মানুষ মাস্ক ব্যবহারে আরও সচেতন হয় এবং চিকিত্‍সকরা যা যা নিয়মাবলি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তা মেনে চলে!

তিনি এবিষয়ে আরও একটি কথা উল্লেখ করেন, এই মাস্ককে একেবারেই দামী অ্যাকসেসরি ভাবার দরকার নেই।

করোনার জেরে গত বছর মণ্ডপে ভিড় করা এবং ভিতরে প্রবেশ নিষেধ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বহু পুজো মণ্ডপকে শেষ মুহূর্তে পাল্টাতে হয়েছে পরিকল্পনা। যার ফলে এখনও অনেকে এবারের প্রস্তুতি সে ভাবে শুরু করেনি। পুজোর পোস্টারও রাস্তায় তুলনামূলক কম। তবে, গতবার পুজো উপভোগ সে ভাবে করতে না পারায় এবার প্যান্ডেল হপিংয়ের জন্য কার্যত মুখিয়ে রয়েছে বাঙালি!

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours