করোনা মহামারীর কারণে অনেকটাই ম্লান হয়ে গিয়েছে কবি স্মরণ। ২৫ বৈশাখেও নেই সেই জৌলুস। আবার ২২শে শ্রাবণেরও সেই উদযাপন আর নেই। তবু কবির লেখা প্রতিটি লাইন আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিত। আজ ২২ শ্রাবণ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররে ৮০ তম প্রয়াণ দিবস। প্রতিবছরের মতো এবার আর স্কুল কলেজে সেই উন্মাদনা নেই। করোনার আতঙ্কে সমকিছু স্মান হয়ে গিয়েছে।

এই ২২ শ্রাবণে অবিশ্রান্ত বর্ষণ মুখর দিনেই ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন তিনি। বাংলা হারিয়েছিল তাঁদের প্রাণের ঠাকুরকে। যার সঙ্গে আত্মিক যোগ বাঙালির। সেই প্রাণের ঠাকুর আজও বেঁচে আছেন প্রতি বাঙালির অন্তরে। যাঁর লেখনির আধুনিকতা আজও অপ্রতিরোধ্য। রবীন্দ্রনাথের মতো লেখনি কেউ দিতে পারেননি। করোনা আবহের মধ্যে দাঁড়িয়েও তাঁর লেখা, তাঁর গান, তাঁর সাহিত্য আমাদের নতুন করে বাঁচার শক্তি দিতে পারে।

কলকাতাতেই জন্মেছিলেন তিনি, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িরতে। ১৮৬১ সালের ৭ মে। ববা দেবেন্দ্রনাঠ ঠাকুর এবং মা সারদা দেবী। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই হারিয়েছিলেন মাকে। পড়াশোনা বিদেশেই করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে তিনি ফিরে আসেন ১৮৮০ সালে। পুঁথিগত বিদ্যা একেবারেই পছন্দ করতেন না তিনি। শান্তিনিকেতনে আশ্রম তৈরি করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন প্রকৃতির মাঠে পাঠই আসল শিক্ষা দেয়। নতুন ধারার শিক্ষায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। খোলা আকাশের নীচে পড়া। করোনা আবহে সেই খোলা আকাশের নিচে শিক্ষাকেই বেছে নিতে বলছেন গবেষকরা। সেই পথেই হাঁটতে চাইছে গোটা দেশ। যেটা তিনি প্রায় ৮০ বছর আগে করে দেখিয়েছিল তিনি। তাঁর লেখা একাধিক লেখনিতে আজই প্রাসঙ্গিক।

গীতাঞ্জলী, গোরা, গৃহদাহ, চার অধ্যায়ের মতো একাধিক উপন্যাস লিখেছেন। েসই সব সাহিত্য আজও ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিত। শুধু উপন্যাস বা সাহিত্য নয়। একাধিক গান, কবিতা, গীতিনাট্য, চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। যেগুলি আর কেউ লিখে উঠতে পারেনি। বাংলা সাহিত্যকে অতটাই সমৃদ্ধ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সেই ধারা বাঙালি আজও নিয়ে চলেছে।রবীন্দ্রনাথে গীতাঞ্জলী একাধিক ভাষায় অনুদিত হয়েছে। কেন্দ্রর তরফে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২শে শ্রাবণ নিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন টুইটে। করোনার কারণে তেমন কোনও অনুষ্ঠান এবার হচ্ছে না ঠিকই তবে বাঙালি তার মননে রেখে দিয়েছেন রবীন্দ্র নাথকে। তাঁকে ঠাকুরের আসনে বসিয়েছে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours