করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধ্বংসলীলা এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কীভাবে আসবে তা জানা নেই কারোর। তবে সেটা যে আসবে, তা একপ্রকার নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই সময়ের মধ্যে রাজ্যে অন্তত ২৩০০ ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এর মধ্যে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (নিকু), পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু) এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের বেড রয়েছে।

এছাড়া ২৬০০০ কোভিড বেড তো আছেই। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করে ফেলতে চাইছে তারা।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন বাংলায় সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ হয়েছিল ১৪ মে। সেদিন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ৮৪৬ জন। তবে সেখান থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে চার হাজারেরও কম আক্রান্ত হয়েছে করোনায়।

তবে শুধু রাজ্য নয়, সারা দেশই আতঙ্কে রয়েছে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী, 'করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা প্রভাব ফেলবে অল্পবয়সীদের উপর। করোনার  তৃতীয় ঢেউ রুখতে এখনই পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য। না হলে বিপদ। এই মর্মে দেশের বিরোধী দলগুলিকে কিছুদিন আগেই চিঠি দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু, ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব, রোমিলা থাপার সহ ১৮৫ জন বিশিষ্টজন। তাঁদের অনুরোধ, বিরোধী দলগুলি তাদের প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে বলুক, এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে। যাতে করোনা মোকাবিলায় সময় থাকতে পদক্ষেপ করা যায়।

ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য কেন্দ্রকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এমবিবিএস সম্পন্ন করা এবং পিজি কোর্স ভর্তির অপেক্ষা করা চিকিত্‍সকদের কেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নামানোর পরামর্শ দিয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours