FFP;

 যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ১২ তলা আবাসিক ভবনের একটা অংশ ধসে পড়েছে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১০২ জনকে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ১৫৯ জন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়বে। গত বৃহস্পতিবার সকালে (স্থানীয় সময়) মায়ামি শহরের সার্ফসাইড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফ্লোরিডায় জরুরি অবস্থা জারির অনুমতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ৪০ বছরের পুরনো ওই ভবনটি কেন ধসে পড়েছে, তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

বিবিসি জানায়, ‘চ্যামপ্লেইন টাওয়ারস সাউদ’ নামের বহুতল ভবনটির ভেতরে ঠিক কতজন ছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সার্ফসাইড শহরের কমিশনার টার্লস কেসল বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, আর কাউকে আদৌ জীবিত খুঁজে পাওয়া যাবে কি না, তা আমি নিশ্চিত নই।’



উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত ১৩০ ইউনিটের ওই কমপ্লেক্সটি ১৯৮০ সালে নির্মাণ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বেশ কয়েকজন নাগরিকের খোঁজ মিলছে না।

প্যারাগুয়ের কর্মকর্তারা জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে সে দেশের ফার্স্ট লেডির কয়েকজন স্বজনও আছে। উদ্ধারকর্মীরা ফার্স্ট লেডি সিলভানা লোপেজ মোরেইরার বোন, ভগ্নিপতি, তাঁদের তিন সন্তান ও কাজের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

সার্ফসাইডের মেয়র চার্লস বরুকেট বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘দুর্ঘটনার প্রায় ২১ ঘণ্টা পার হতে চলল, তার পরও আমি আশাবাদী উদ্ধারকাজে নিয়োজিতরা ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার করতে পারবে।’ তিনি জানান, ‘ভবনধসের কারণ নিয়ে জল্পনা বা তদন্ত নিয়ে কথা বলার সময় এখন নয়। কারণ হলো কর্তৃপক্ষ আপাতত সব মনোযোগ দিয়েছে উদ্ধারকাজে।’

ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টের অধ্যাপক শিমন উডোভিনস্কি সিএনএনকে বলেন, ‘গবেষণার ভিত্তিতে গত বছর আমি দেখিয়েছিলাম যে চ্যামপ্লেইন টাওয়ারস সাউদ কনডো অন্তত দুই দশক আগে থেকে দেবে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।’ তাঁর গবেষণায় দেখা গেছে, ভবনটি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বছরে দুই মিলিমিটার করে দেবে গেছে। অধ্যাপক উডোভিনস্কির মতে, ‘শুধু দেবে যাওয়ার কারণে এভাবে ভবন ধসে যেতে পারে না। এটা একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে।’

সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যানটিসের জরুরি অবস্থা ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন। সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণার মানে হলো, ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (ফেমা) কর্মীরাও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করতে পারবেন

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours