শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। শনিবার থেকেছেন আড়ালে। এর পর রবিবার মহিষাদলে সভা আর সোমবার নন্দীগ্রামে খোল বাজিয়ে রাসের কীর্তনে অংশগ্রহণ। রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে যতই জল্পনা থাকুক, তিনি আপাতত সে সব থেকে অনেক দূরে। নিজের অবস্থান নিয়ে রহস্য জিইয়ে রেখেই সোমবার রাস উৎসবে নন্দীগ্রামে হাজির মানুষকে হরিনামের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করে শোনালেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
নন্দীগ্রামের এই রাস উৎসব খুব পুরনো নয়। বাসস্ট্যান্ডের কাছে উৎসবের এ বার ষষ্ঠ  বর্ষ। স্থানীয়দের বক্তব্য, অতীতে কখনও এই উৎসবে দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। এ বারই প্রথম। আর প্রথম বার নন্দীগ্রামের রাস উৎসবে তিনি এসেছিলেন শোভাযাত্রা নিয়ে। সেই শোভাযাত্রার ভিড় ছিল স্থানীয় মানুষের চোখে পড়ার মতো। রেয়াপাড়া থেকে শোভাযাত্রা-সহ শুভেন্দু উৎসবস্থলে পৌঁছে খোল ঝুলিয়ে নেন গলায়। মাতেন কীর্তনে। আর সে সবের মধ্যেই বলেন, ‘‘আপনাদের সেবক শুভেন্দু অধিকারী বরাবর আপনাদের সঙ্গে ছিল। ভবিষ্যতেও আপনাদের সঙ্গে পাবেন।’’ সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘আমি সব অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামে আসি। নন্দীগ্রামের এমন কোনও অনুষ্ঠান নেই যেখানে আমি আসিনি। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান, খেলা-মেলায় আসি। কিছুদিন আগেই মহাষ্টমীতে গোকুলনগরে এসেছি। দীপাবলিতে এসেছি টাউন ক্লাবের অনুষ্ঠানে। বড়দিন থেকে ইদ— সবেতেই আসি। আজ রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলাম।’’
এর পর শুভেন্দুর বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল রাস পালনের গুরুত্বের কথা। তিনি বলেন, ‘‘রাসের মূল মাহাত্ম্য বলে— প্রভু দর্শন দিতে আসেন ভক্তদের। প্রভু এবং ভক্তদের মিলন ঘটে মহা রাসে। এটাই হল মূল তাৎপর্য। সেই জন্যই আপনারা দেখবেন, কৃষ্ণ ও রামের নামের সহাবস্থানে হরেকৃষ্ণ মন্ত্র তৈরি হয়েছে।’’
তৃণমূল বা মন্ত্রিত্ব ছাড়া নিয়ে সোমবার শুভেন্দুর মুখে কিছু শোনা যায়নি। যদিও তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আবার শুভেন্দুর আলোচনা হতেই পারে। তাঁর কথায়, ‘‘রাজনাতি হল ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের। কোনও বিষয়েই চূড়ান্ত কোনও লাইন টানা যায় না। শুভেন্দুর সঙ্গেও তেমনই ব্যাপার। ওর সঙ্গে ভবিষ্যতে আলোচনা হতেই পারে।’’ সৌগত আরও একবার জানিয়েছেন যে, তিনি যা করছেন (শুভেন্দুর সঙ্গে আলোচনা), দলের অনুমতি এবং অনুমোদন নিয়েই করছেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours