ভারতে বিপুল হারে বাড়ছে ম্যালওয়্যার হানা। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, আমেরিকা এবং জাপানের পরই ম্যালওয়্যারের হানায় এই মুহূর্তে বিশ্বের তৃতীয় দেশ ভারত (Malware Attack in India)। 2020 সালে সাইবারথ্রেট সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে Acronis। সেই রিপোর্টে আরও বলা হচ্ছে যে, প্রতি মাসে প্রত্যেক 1000 ক্লায়েন্টে ম্যালওয়্যার ডিটেকশন 1168। পাশাপাশিই আবার 2020 সালের তৃতীয় কোয়ার্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী, মেজ় র‌্যানসমওয়্যার (Maze Ransomware) ডিটেকশনের হার হয়েছে 7.8%।
রিপোর্টে এ-ও বলা হচ্ছে যে, বিশ্বব্যাপী তো বটেই, এমনকী ভারতীয় সংস্থাগুলিতেও 2020 সালে প্রায় প্রতিনিয়তই সাইবার হানার অভিযোগ এসেছে (Malware Attack in India)। আর এই হানার পিছনে সাইবার অপরাধীদের টার্গেট হচ্ছে, কোনও সংস্থার এক্কেবারে প্রত্যন্ত এলাকার কর্মীরা। 2021 সালে এই সংখ্যাটা আরও বেশি পরিমাণে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টে।

কিন্তু কেন খুঁজে-খুঁজে দুর্গম এলাকায় কর্মরত কোনও কর্মীকে টার্গেট করা হচ্ছে? টেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্গম এলাকা হলে প্রথমত, সেই কর্মী এবং তিনি যে সংস্থায় কর্মরত সেই নেটওয়ার্কে হানা দেওয়া সহজ সাইবার অপরাধীদের কাছে। দ্বিতীয়ত, সেই কর্মী যেহেতু ওয়ার্ক ফ্রম হোমে রয়েছেন তাই তিনি সংস্থার কর্পোরেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারছেন না। কর্পোরেট নেটওয়ার্ক হলে তার সিকিওরিটি বেশি থাকে, যা নর্মাল কোনও নেটওয়ার্কে থাকে না। আর সেই নেটওয়ার্কের অ্যাকসেস নেওয়া সাইবার ক্রিমিনালদের কাছে জাস্ট বাঁ হাতের খেল!

Acronis-এর ইনসাইড সেলসের গ্লোবাল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিডার রাজেশ ছাবড়া বলছেন, 'এই বড় সমস্যার সমাধান এবং স্ট্র্যাটেজির কথা বলতে গেলে, প্রথমেই বলতে হয় যে, ভারত তো বটেই এবং সারা বিশ্বেও প্রথাগত সাইবারসিকিওরিটির হার কমছে। আর এর সবথেকে বড় কারণ হল, খুবই দুর্বল টেকনোলজি এবং হিউম্যান এরর। এই দুটো বর্জন করতে পারলেই সমস্যা অনেকটাই কম হবে।' রাজেশ ছাবড়া আরও যোগ করে বলছেন, 'সাইবার ক্রিমিনালরা তাদের আক্রমণের ধরন বদলাচ্ছে। আর তাই ভারতীয় অরগ্যানাইজেশনগুলির প্রোটেকশন এবং সিকিওরিটি আরও অ্যাডভান্স করতে হবে।'
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours