ভ্যাপসা গরমে জেরবার প্রত্যেকেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টি তা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের রাজ্যে তাপমাত্রা প্রায়ই ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে যায়। সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে একটু আরাম খুঁজি আমরা। সেই জন্য বাড়ছে এসির চাহিদা। তবে এ বছর করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক রয়েছে। ঘর যদি জীবাণুমুক্ত রাখা যায় এমনটাই ভাবছেন অনেকে। সেই ভেবেই বেশ কিছু এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারী সংস্থা, তাদের প্রোডাক্টের সঙ্গে যুক্ত করেছে নতুন বৈশিষ্ট। প্রস্তুতকারী সংস্থা এর একটা নাম দিয়েছেন, ‘প্লাসমাস্টার আয়োনাইজার ফিচার।’ এর ফলে ঘর থেকে যেমন ব্যাক্টেরিয়া দূর হবে, তেমন ঘরকে স্টেরিলাইজ করবে এই এসি, যা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন।
এখন বেশিরভাগের আস্তানা দু’ কামরার ফ্ল্যাট, কারও আবার এক কামরার। ঘরের দেওয়াল বা জানলায় পর্যাপ্ত জায়গাও নেই ইউনিট লাগানোর। তা সত্ত্বেও ছোট্ট এয়ার কন্ডিশনার কেনার ইচ্ছা রয়েছে অনেকের। তাই এসে গেছে এক টনের পোর্টেবল ছোট্ট এয়ার কন্ডিশনার। এটা নিয়েও যাওয়া যাবে এ ঘর ও ঘর। এ বছর স্প্লিট ও উইন্ডো এয়ার কন্ডিশনারের চাহিদা আছে। এ ছাড়াও অন্য বছরের তুলনায় উইন্ডো এসি’র চাহিদা বেড়েছে। ১.৫ টনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

কিনতে যাওয়ার আগে কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

  • একটি এ সি’র হৃদয় হল কম্প্রেসর । তাই এসি ইনভার্টর কম্প্রেসর খুঁজবেন। এখন আবার কিছু প্রস্তুতকারী দুটি ইনভার্টর কম্প্রেসর লাগাচ্ছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এই প্রযুক্তি থাকলে। তবে দেখবেন এটি যেন শব্দ না করে।
  • কন্ডেনসর কয়েল যেন তামার হয় কারণ এটি তাপ নিয়ন্ত্রকের ভুমিকা পালন করে।
  • প্লাসমাস্টার আয়োনাইজার ফিচার আছে কি না দেখে নিতে হবে।
  • বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করে এমন কোনও ব্যবস্থা আছে কি না দেখতে হবে। তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে হবে অনেক।
  • বিক্রয়োত্তর পরিষেবা।
  • কম্প্রেসর ও প্রোডাক্ট ওয়ার‌্যান্টি দেখে নেবেন।
  • বেশ কিছু এসি সেন্সর যুক্ত ও মোবাইল অ্যাপ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও ‘হিউমিডিটি’ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা যুক্ত কিনা তা দেখে নিতে হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours