চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহন বাগান আগেই নাম লিখিয়েছিল আইএসএল-এ। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্যে কী রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই জল্পনা মিটল। স্পনসর হিসেবে ‘শ্রী সিমেন্টের’ সঙ্গে চুক্তি ইস্টবেঙ্গলের। আর ইস্টবেঙ্গলের পরিত্রাতা হয়ে এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাল-হলুদ শিবিরকে আইএসএল-এ জায়গা করে দিতে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁরই জন্যে আইএসএলের দরজা ইস্টবেঙ্গলের জন্যে খুলে গেল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হরিমোহন বাঙ্গুরের 'শ্রী সিমেন্ট'-এর ইনভেস্টমেন্টের দৌলতে আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গল। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এটিকের সাথে যুক্ত করে আগেই আইএসএলে খেলা নিশ্চিত করেছিল মোহনবাগান ক্লাব। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছিলেন অসংখ্য লাল-হলুদ সমর্থক। এবার তাঁরা চিন্তামুক্ত হল। সেই কারণেই লাল শিবিরে এখন খুশির হাওয়া।

এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'শতবর্ষের পুরনো ক্লাব ইস্টবেঙ্গল বঞ্চিত হোক, এটা আমি চাইনি।' তিনি বলেন, ১০০ বছরের ক্লাবকে ঘিরে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, সেটা কাটানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'গ্রাম-শহর সব জায়গাতেই ফুটবল খেলা হয়। এই বছরই তো ইস্টবেঙ্গল ১০০ বছর উদযাপন করছে। কিন্তু ওরা আইএসএল খেলবে কিনা, তা বোঝা যাচ্ছিল না। ওরা বঞ্চিত হতে শুরু করেছিল। এখন সমস্যা মিটে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলবে।'

নতুন স্পনসরের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তির সময় ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন। আর স্পনসর ও সর্বোপরি আইএসএল-এর পথ সুগম করে দেওয়ার জন্যে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদারও। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ লাল-হলুদের অগণিত সমর্থকরাও।

পুরনো স্পনসর কোয়েসের সাথে মালিকানা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষের ঝামেলা, বারবার স্পনসর ঘোষণা করেও শেষ মুহূর্তে তা বাস্তবায়িত না হওয়া, আইএসএল-এ কারা কারা খেলবে, সেই দলের নাম জানিয়ে দেওয়া, মোহনবাগানের আইএসএল খেলা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর রীতিমতো আশঙ্কায় ছিলেন লাল-হলুদ ব্রিগেড, এদিনের পর সেই চিন্তা শেষ হল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours