শোয়েব আনসারি এসেছেন ঝাড়খণ্ড থেকে। উদ্দেশ্য ছিল, কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু হয়ে পুণে পৌঁছবেন। কিন্তু মাঝখানে লকডাউনে আটকে সমস্ত হিসেবই উল্টেপাল্টে গিয়েছে। এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে বসে কী করবেন, কোথায় যাবেন, কোথা থেকেই বা খাবার পাবেন, তা ঠাহর করতে পারছেন না শোয়েব।

একই অবস্থা পরিযায়ী শ্রমিক মালদা থেকে আসা শুভ্রদীপ এবং সঞ্জয়ের। রাজ্যে ফিরে কাজ না পেয়ে তাঁরা আবার ফিরে যাচ্ছেন ভিন রাজ্যে। সে জন্যই গত কাল এসেছিলেন ফ্লাইট ধরতে। কিন্তু তা না পেয়েই বিপাকে পড়েছেন সঞ্জয়রা। দিনভর সেই উৎকণ্ঠা নিয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে।লকডাউনের দিনগুলিতে আটকা পড়া যাত্রীদের এমন হয়রানির খবর নতুন  নয়। বুধবারও সেই হয়রানির মুখোমুখি হলেন শ'য়ে শ' য়ে বিমানযাত্রী। কোথায় যাবেন, কী খাবে, তাই  নিয়ে দিনভর নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে যাত্রীদের।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফেও সে ভাবে কোনও ব্যবস্থা না থাকায় আরও অসুবিধেয় পড়তে হয়ছে যাত্রীদের। আর খাবারের জন্য বেরিয়ে বহুদূর যেতে হচ্ছে ওই সব যাত্রীদের। বিমানবন্দরের এক কর্তা বলেন, "রাজ্য সরকার আপত্তি জানানোয় বিমান পরিষেবা লকডাউনের দিনগুলিতে বন্ধ রাখতে হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট দিন না থাকায় এবং বারবার দিন পরিবর্তন হওয়ায় যাত্রীদের পরিকল্পনা করতে অসুবিধে হচ্ছে। তাতেই কলকাতায় এসে পড়ে সমস্যায় পড়ছেন ওই সব যাত্রীরা।"

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours