তিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৮২ জনের। ইতিমধ্যেই করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির, Favipiravir-এর মতো বেশ কয়েকটি ওষুধের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই কয়েকটি করোনা প্রতিষেধক হয়তো বাজারে চলেও আসবে। তাহলে করোনাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে বিশ্ববাসীকে? এই প্রশ্নের উত্তরে এখনই কোনও ‘আশার বাণী’ শোনাতে পারল না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বরং এ বিষয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ঘোষণা।
করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা স্বীকার করে নেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। তিনি জানান, পরবর্তি কয়েক দশক ধরে ভয়াবহ প্রভাব অনুভূত হবে। ১৮ জন সদস্য ও ১২ জন পরামর্শদাতাকে নিয়ে সম্প্রতি নিজেদের চতুর্থ বৈঠকে বসেছিল সংস্থার এমার্জেন্সি কমিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল জানান, মাস ছয়েক আগে যখন ‘পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি’ ঘোষণা করতে বলা হয়েছিল, তখন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ১০০ জনেরও কম, চিনের বাইরে কারও মৃত্যু হয়নি তখনও। এই রকম অতিমারী শতাব্দীতে একবারই হয়। এর প্রভাব থাকবে অন্তত কয়েক দশক পর্যন্ত।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত মোট ছয় বার বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করেছে WHO। এই ছ’বারের মধ্যে এটাই সবচেয়ে খারাপ এবং ভয়ঙ্কর অবস্থা তা নিশ্চিত ভাবে বলা যেতে পারে। করোনার ওষুধ, প্রতিষেধক আসার পরেও যে এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সহজে রেহাই মিলবে না, WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেলের কথায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার ভয়াবহতা এখনও চরমে পৌঁছায়নি। এই মহামারী হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। যে সব দেশে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে, সেখানে সংক্রমণ কমছে আর যেখানে মানা হচ্ছে না, সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours