যে কৃষকরা কৃষিকার্যের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়েছেন তাঁরা যদি আগামী সাতদিনের মধ্যে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ভিত্তিতে নেওয়া লোন পরিশোধ না করেন তাহলে তাঁদের ৪ শতাংশের জায়গায় ৭ শতাংশ সুদ দিতে হবে৷ কারণ কৃষকদের এই টাকা পরিশোধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩১ অগাস্ট অবধি সময় দেওয়া হয়েছিল৷

সাধারণত কেসিসি -ওপর নেওয়া লোন ৩১ মার্চের মধ্যে ফেরত করতে হয়৷ এরপর কৃষকরা আবার সামনের বছর লোন নিতে পারেন৷ যে কৃষকরা বুদ্ধিমান তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে লোন নিয়ে তা চাষের কাজে লাগান আবার শোধ দিয়ে পরের বছর তার থেকে লোন নেন৷ এই টাকা নির্ধারিত সময়ে শোধ করে দিলে তাহলে আবার ২-৪ দিনের মধ্যেই টাকা লোন নিতে পারেন৷ এরফলে কৃষকদের কৃষি কার্যের জন্য কখনই টাকার অভাব হয় না৷ ৩১ মার্চের পর টাকা পরিশোধ দেওয়ার সময় এই বছর করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িয়ে ৩১ অগাস্ট করা হয়েছিল৷ কিন্তু এরপর আর সময়সীমা বৃদ্ধির আশা প্রায় নেই৷
কৃষক ও চাষীদের জন্য কেসিসি-র ওপর ৩ লক্ষ টাকা অবধি লোনের হার ৯ শতাংশ৷ কিন্তু কেন্দ্র সরকার এতে ২ শতাংশ ভর্তুকি দেয়৷ তারফলে এটা ৭ শতাংশ হয়ে যায়৷ কিন্তু কেউ যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দেয় তাহলে আরও ৩ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়৷ যার ফলে কৃষকদের মাত্র ৪ শতাংশ সুদ দিতে হয়৷
প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি স্কিমে আরও ২.৫ কোটি গরীব চাষীদের লোন দেওয়ার প্ল্যান রয়েছে৷ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে এই কৃষকদের নাম নথিভুক্ত. করিয়ে যাতে তাঁদেরকে সেবায় পৌঁছে দেওয়া হয় তার চেষ্টা করছে সরকার৷কেন্দ্রীয় কৃষি রাজ্য মন্ত্রী কৈলাশ চৌধরি -র মত অনুযায়ি ২ লক্ষ কোটি টাকার প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছে৷ কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে আরও ২.৫ কোটি কিষাণ ক্রেডিট কার্ড৷ স্থানীয় সুদখোর মহাজনদের হাতে পড়ে কৃষকদের অবস্থা যেন প্রাণান্তকর না হয়ে ওঠে তারই চেষ্টা করছে সরকার৷
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours