এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কর্মী দিনের পর দিন অফিসে আসছেন না। তার ফলে জেলার প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এখন পঞ্চাশ শতাংশ কর্মীদের উপস্থিত থাকতে বললেও অনেক কর্মী দিনের পর দিন অফিসে আসছেন না। আবার কিছু কর্মী নিয়মিত অফিসে এসে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কর্মীদের পঞ্চাশ শতাংশ হাজিরা নিশ্চিত করতে এবার জেলা প্রশাসন তৎপরতা বাড়াতে চলেছে।

জেলা প্রশাসন গত কয়েকদিন ধরে অনুসন্ধান করে দেখেছে পঞ্চাশ শতাংশ কর্মীকে হাজির থাকতে বলা হলেও অনেক অফিসেই আদতে ১০ শতাংশ বা তারও কম সংখ্যায় কর্মীরা উপস্থিত থাকছেন। বাকিরা করোনা পরিস্থিতিতে দিনের পর দিন বাড়িতে ছুটি কাটাচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, কোন কর্মী কবে হাজির থাকছেন, কতক্ষণ তিনি অফিস করছেন তা এবার নজরদারির মধ্যে আনা হচ্ছে। প্রতিদিনের অফিসে হাজিরার তালিকা জেলাশাসকের অফিসে জমা দিতে বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আগে-পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতি চালু করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখছে জেলা প্রশাসন। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স বন্ধ থাকায় অনেকেই অনেক দেরিতে অফিসে এসে পরক্ষণেই বাড়ি ফিরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকেই অফিসে সকলকে হাজির থাকার নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে জেলা প্রশাসন। তার আগে অফিসে যাতে অর্ধেক কর্মী হাজির থাকেন তা সুনিশ্চিত করতেই এবার প্রতিদিন অ্যাটেনডেন্সের খাতায় নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ওই পদস্থ কর্তা। তিনি বলেন, কর্মীরা ইচ্ছামত অফিসে আসছেন। একদিন এলে বেশ কয়েকদিন আর আসছেন না। তার ফলে বকেয়া কাজের পাহাড় জমছে। অনেক বাসিন্দা সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। প্রশাসনিক ফাইল আটকে থাকছে। তাই এবার কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিভাগীয় প্রধানদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন কর্মী কবে অফিসে আসছেন, কবে কারা ছুটিতে থাকবেন তা তালিকা তৈরি করে জানিয়ে দিতে হবে। সেই তালিকা মেনেই সব কর্মীকে অফিসে আসা যাওয়া করতে হবে। তা না মানা হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours