স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৬টার সময় বাইকে চেপে ওই এলাকায় ঢুকে পড়েন দুই দুষ্কৃতী। এরপরই ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাঁরা। গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। পিঠে গুলি লাগে তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে।
বাঁচাও-বাঁচাও করে চিৎকার করছিলেন', শহরে চলল গুলি, আক্রান্ত মহিলা
হরিদেবপুরে চাঞ্চল্য
সাতসকালে শহরে চলল গুলি। তীব্র চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে। ঘটনা হরিদেবপুর সংলগ্ন এলাকার। দুষ্কৃতীদের নিশানায় এক মহিলা। কিন্তু কেন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল? সেই নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট ধন্দ।
হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ১২৩ নং কালীপদ মুখোপাধ্যায় রোড। সোমবার সকালে সেখানে একটি ক্লাবের কাছে চলল গুলি। হামলার মুখে পড়েন এক মহিলা। নাম মৌসুমী হালদার, বয়স ৩৭। কিন্তু এত সকালে রাস্তায় কী করছিলেন তিনি? মর্ণিং ওয়াক নাকি অন্য কোনও কাজে বেরিয়েছিলেন ওই মহিলা? সেই তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
সব শেষ করে দিয়েছি', মাথায় সজোরে পাথর মেরেই থানায় হাজির
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৬টার সময় বাইকে চেপে ওই এলাকায় ঢুকে পড়েন দুই দুষ্কৃতী। এরপরই ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাঁরা। গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। পিঠে গুলি লাগে তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। কিন্তু ক্ষণিকের মধ্য়েই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
কিন্তু কেন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা? তদন্তে নেমেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন দুষ্কৃতীরা। বদলা নিতেই চালিয়েছে গুলি। অবশ্য়, এই ক্ষেত্রে তাঁরা বন্দুক নাকি এয়ার গান ব্যবহার হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় বাবলু নামে এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগ, এই বাবলু ওই আক্রান্ত মহিলাকে বহু বছর ধরেই বিরক্ত করতেন। এদিন এক স্থানীয় বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় যে এরকম একটা ঘটনা ঘটবে, তা কখনওই ভাবতে পারিনি। সকাল বেলা বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করছিলেন। ওর ছেলে এসে উদ্ধার করেছে। পিঠে গুলি লেগেছে।’


Post A Comment:
0 comments so far,add yours