গঙ্গাসাগর মেলার আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতা: ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে উচ্চ পর্যায়ের দল
আগামী ২০২৬ সালের গঙ্গাসাগর মেলার (শুরু ৮ জানুয়ারি) আগে সাগরের একাধিক ভাঙন কবলিত এলাকা রবিবার ঘুরে দেখলেন এডিশনাল চিপ সেক্রেটারি মনিশ জইন এবং সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে মেলা গ্রাউন্ড থেকে শুরু করে সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকার নদী বাঁধ এবং কপিল মুনির আশ্রমের সামনে ১ থেকে ৬ নম্বর স্নানঘাট পর্যন্ত ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে।
এ বছর কুম্ভ মেলা না থাকায় এই গঙ্গাসাগর মেলায় রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থীদের ঢল নামবে বলে মনে করছে প্রশাসন। এই বিপুল ভিড় সামাল দিতে জোরকদমে স্নানঘাট মেরামতি করার কাজ শুরু করার আগে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন।
রবিবার এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন এডিশনাল চিপ সেক্রেটারি মনিশ জইন, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এবং সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রাই সহ প্রশাসনিক একাধিক আধিকারিক। তাঁরা প্রথমে বেনুবন ঘাট ঘুরে দেখেন। এরপর সাউ ঘেরী-তে স্থায়ী নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁরা গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রমের সামনে সমস্ত পয়েন্ট ও স্নানঘাটগুলি ঘুরে দেখেন। শেষে চাঁপাতলা ও কশতলা-য় ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধের কাজও পরিদর্শন করেন এবং।এবং কচুবেড়িয়া পয়েন্টে জেটিঘাট গুলি ঘুরে দেখেন পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা ও সুষ্ঠুভাবে মেলার আয়োজন নিশ্চিত করতে যত দ্রুত সম্ভব নদী বাঁধ ও স্নানঘাট মেরামতির কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রেকর্ড ভিড় সামলাতে পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours