গত ২৭ অক্টোবর বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা শুরুর ঘোষণা করে কমিশন। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি যাবেন বুথ লেভেল অফিসাররা(BLO)। ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর দাবি ও অভিযোগ জানানো যাবে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।


আদালতের নজরদারিতেই হোক SIR, আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে
কলকাতা হাইকোর্ট

বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) নিয়ে এবার মামলার আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নজরদারিতে এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।


হাইকোর্টের কাছে আবেদনে একাধিক দাবি জানিয়েছেন আবেদনকারী। তাঁর আবেদন, আদালতের নজরদারিতে হোক এসআইআর প্রক্রিয়া। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি করা হোক। কেন এসআইআর করা হচ্ছে? এসআইআর করার প্রয়োজন কী? বিস্তারিতভাবে যাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন আদালতের কাছে জানায়, সেই দাবিও জানিয়েছেন আবেদনকারী। একইসঙ্গে আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০২-র ভোটার তালিকা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করুক কমিশন।




ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। শাসকদল তৃণমূল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলেই প্রতিবাদে নামবে তারা। এসআইআরের জেরে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে তাদের দাবি। এত কম সময়ে এইআইআর প্রক্রিয়া সম্ভব কীভাবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, এইআইআর নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে এসআইআর নিয়ে মামলা হল হাইকোর্টে। এখন দেখার, হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয়।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours