বস্তুত, একা অভিষক নন, প্রদীপ করের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে এই নির্মম খেলাটি চিরতরে বন্ধ হোক। বাংলা কখনও এনআরসি অনুমোদন করবে না। কাউকে আমাদের জনগণের মর্যাদা কেড়ে নিতে দেবে না।"
'অমিত শাহ ও জ্ঞানেশ কুমারের নামে FIR হওয়া উচিত', কেন বললেন অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ
NRC আতঙ্ক। সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি। তিনি আগরপাড়ার মহাজাতি নগরের বাসিন্দা। এই ঘটনার পরই ময়দানে নেমে পড়ছে তৃণমূল। মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পুরো দায় ঠেলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমারের দিকে। প্রৌঢ়ের মৃত্যুতে তাঁদের বিরুদ্ধে FIR হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
আজ সাংবাদিক বৈঠক থেকে আদ্যপান্ত এসআইআর ইস্যুতে মন্তব্য করেছেন অভিষেক। হুঙ্কার দিয়ে এও বলেছেন, একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে তিনি বাংলার মানুষদের নিয়ে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করবেন। তিনি বলেন, “অমিত শাহের দিল্লি পুলিশ তখন কী করে দেখব।” ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের এ দিন প্রশ্ন, “বিজেপির যারা এমপি তাঁদের বাবার নাম আছে ২০০২ এর ভোটার লিস্টে? যাঁরা কেন্দ্রের মন্ত্রী তাঁদের বাবার নাম আছে ২০০২ এর ভোটার লিস্টে? তথ্য সব পরে দেব। জোগাড় করেছি।”
দেবে। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী অমিত শাহ ও জ্ঞানেশ কুমার। তাদের নামে FIR হওয়া উচিত। উনি যখন নিজের আত্মহত্যার চিঠিতে লিখেছেন, মৃত্যুর জন্য দায়ী SIR ও NRC। আর এই এনআরসি করছেন অমিত শাহ, আর এসআইআর করার চক্রান্ত করেছেন জ্ঞানেশ কুমার। ছমাস আগে সহকর্মী ছিলেন অমিত শাহের।” এখানেই শেষ নয়, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ওয়ার্নিং ও দিয়েছেন অভিষেক। বলেন, “আমি সাংসদ হিসাবে এদের ওয়ার্নিং দেব, আজ নয় কাল সরকার বদলাবে। জ্ঞানেশবাবু দেশ ছেড়ে পালাবেন না। বিজেপি থাকবে না, দেশের সংবিধান থাকবে। অমিত শাহ থাকবে না। তখন যেখানে থাকবেন খুঁড়ে নিয়ে আসব। জবাবদিহি মানুষের কাছে দিতে হবে। আপনার অনেক তথ্য আমাদের কাছে আছে। সময় মতো সব মানুষের কাছে উপস্থাপিত করব।”
বস্তুত, একা অভিষক নন, প্রদীপ করের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লিখেছেন, “আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে এই নির্মম খেলাটি চিরতরে বন্ধ হোক। বাংলা কখনও এনআরসি অনুমোদন করবে না। কাউকে আমাদের জনগণের মর্যাদা কেড়ে নিতে দেবে না। বছরের পর বছর ধরে বিজেপি এনআরসির হুমকি দিয়ে, মিথ্যা প্রচার করে, আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কীভাবে ভোটের জন্য নিরাপত্তাহীনতার অস্ত্র ব্যবহার করে নিরীহ নাগরিকদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে তা কল্পনা করলে আমার হৃদয় কেঁপে ওঠে।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours