ইচ্ছামতো কাগজ তৈরি করতে হবে’, কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার
বিহার প্রসঙ্গ টেনেও বিজেপির তুলোধনা করেন মমতা। তীব্র কটাক্ষের সুরে বলেন, “বিহারে করতে পেরেছিলেন কারণ ওখানে বিজেপি সরকার আছে। কিন্তু বাংলা সামথিং ডিফারেন্ট। বাংলায় অনেক সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, তফসিলি জাতি, উপজাতি আছে।”
ইচ্ছামতো কাগজ তৈরি করতে হবে’, কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার
আর কী বললেন মমতা?
“এসআইআরের নাম করে ফেস্টিভ্য়ালের সময়টাকে কেন বেছে নেওয়া হয়েছে?” নবান্ন থেকে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরইমধ্যে SIR-এর কাজ খতিয়ে দেখতে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বে বাংলায় এসেছিল নির্বাচন কমিশনের বিশেষ টিম। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অনান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও হয়। তারপর থেকেই ১৫ অক্টোবরের পর বাংলায় SIR হতে পারে বলে জোর জল্পনা শোনা যাচ্ছে। সেই জল্পনা শুরুর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার কার্যত ফুঁসে উঠলেন মমতা।
মমতার সাফ কথা, “একদিকে গোটা বাংলায় দুর্যোগ চলছে। মানুষের দুর্ভোগ চলছে। সামনে আবার কালীপুজো, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো রয়েছে। এবং চারদিকে ডুবে আছে। সেখানে ফিল্ড সার্ভের নাম করে তিনটে অফিসে বসে চারজন অফিসার বিএলও-দের ডেকে থ্রেট করছেন, বলছেন তাঁদের ইচ্ছামতো কাগজ তৈরি করতে হবে।” এরপরই বিহার প্রসঙ্গ টেনে তুলোধনা করেন বিজেপির। তীব্র কটাক্ষের সুরে বলেন, “বিহারে করতে পেরেছিলেন কারণ ওখানে বিজেপি সরকার আছে। কিন্তু বাংলা সামথিং ডিফারেন্ট। বাংলায় অনেক সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, তফসিলি জাতি, উপজাতি আছে।”
সোজা কথায় কেন এত তাড়া, কেন উৎসবের সময়েই এসআইআরের উদ্যোগ, তা নিয়ে এদিন বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মমতাকে। বিজেপিকে কটাক্ষ তো রয়েইছে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তুলোধনে করে বলেন, “যখন মানুষ ফেস্টিভ্যাল মুডে রয়েছে, চারপাশে যখন দুর্যোগ-দুর্ভোগ সেখানে ২ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ ভোটার লিস্ট কী করে? প্রত্যেকটা মানুষ গিয়ে কী করে তার ডিটেলস দেবে? তারা তো নেই। অনেকে তো বেড়াতে চলে গিয়েছে, অনেকে তো জলে ডুবে গিয়েছে, কাগজপত্র নষ্ট হয়েছে, অনেকে তো পুজো-পার্বনে ব্যস্ত আছে! বিহারে তো ছট পুজোটাই বড় পুজো, কিন্তু আমাদের এখানে সব পুজোই উৎসব। বাংলার উৎসব একটু আলাদা।”
শুধু এখানেই শেষ নয়। নির্বাচন কমিশনের কর্তাদেরও আলাদা করে নিশানা করেন। তোপের পর তোপ দাগতে থাকেন। বলেন, “একটা কথা আছে না বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়। এখানে যিনি রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সেগুলি সময় হলে বলব। আশা করি তিনি বেড়ে খেলবেন না। তিনি বড্ড বেশি অফিসারদের থ্রেট করছেন। এদিকে তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ।”


Post A Comment:
0 comments so far,add yours