গত ২৫ জুন কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় কলকাতা। অভিযোগ ওঠে, ঘটনার দিন কলেজের মূল দরজা বন্ধ করে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় সিকিউরিটি গার্ডের রুমে। শুধু গণধর্ষণ নয়, হকিস্টিক দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মাথায় আঘাতও লাগে।


ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় জামিন পেয়েছিলেন অভিযুক্ত, রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে নির্যাতিতা
এবার হাইকোর্টে লড়াই


 কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় সম্প্রতি নিম্ন আদালত জামিন মঞ্জুর করেছিল অভিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষীর। এই ধর্ষণের ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে অন্যতম অভিযুক্ত মনে করেনি নিম্ন আদালত। একাধিক সাক্ষীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছিল কোর্ট। এবার নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল নির্যাতিতার পরিবার। ল কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীর জামিন খারিজের আবেদন জানিয়ে উচ্চ-আদালতের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা।

গত ২৫ জুন কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় কলকাতা। অভিযোগ ওঠে, ঘটনার দিন কলেজের মূল দরজা বন্ধ করে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় সিকিউরিটি গার্ডের রুমে। শুধু গণধর্ষণ নয়, হকিস্টিক দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মাথায় আঘাতও লাগে। যে সময় এই ঘটনা ঘটেছিল,সেই সময় ডিউটিতে ছিলেন অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী। তবে সব কিছু দেখেও তিনি চুপ ছিলেন। সেই সময়ই প্রশ্ন ওঠে তাঁর ভূমিকা নিয়ে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত ও তাঁর সহকর্মীরা গ্রেফতার হন।



 'তৃণমূলের কিছুই ভাল লাগে না', দল ছেড়ে বিজেপিতে এলেন ৫০ জন
এরপর গত ১৩ই অক্টোবর আলিপুর আদালতে ওঠে এই মামলা। কুড়ি হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এই জামিন মঞ্জুর করে কোর্ট। অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর আইনজীবী এ দিন জামিন পাওয়ার পর জানিয়েছিলেন, “নিরাপত্তারক্ষীকে জেলা আদালত চারমাসের মধ্যে জামিন দিল। আমরা কিছু তথ্য দেখাই, যে উনি ভয়ে ছিলেন তাই কিছু করার ছিল না। ওই কলেজের অন্য নিরাপত্তারক্ষীরাও বলেছেন যে আমার মক্কেলের কিছু করার ছিল না পরিবেশটাই এমন ছিল ওইখানকার। এখনও সম্পূর্ণ চার্জশিট জমা পড়েনি। সিসিটিভি ফুটেজও দিতে পারেনি।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours