এই জেলার রাজনীতি আমি জানি। আমি একটা সময় তৃণমূলে ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানকার লোক পছন্দ করে না। গতবার বিধানসভায় ১২-০ করেছিল। আর লোকসভা ভোটে ৬টা ভোটে এগিয়ে বিজেপি, বাম-কংগ্রেস ৬। তৃণমূল ০। মালতীপুরের বিধায়ক আমার গাড়ির দরজা খুলত।
আমি বলি ধর্ম যাঁর-যাঁর, রক্ষা করার দায়িত্ব তাঁর-তাঁর: শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী, বিরোধী দলনেতা
চলছে বিজেপি বিজয় সংকল্প সভা। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের পর এবার মালদহে সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে একদিকে যেমন তিনি CAA নিয়ে সরব হয়েছেন, তেমনই ভুয়ো ভোটার নিয়েও মুখ খুলেছেন। শুধু তাই নয়, মালদহে বিজেপিকে কত পেতে হবে সেই টার্গেটও বেঁধেছেন শুভেন্দু।
কী বললেন বিরোধী দলনেতা দেখুন একনজরে?
শুভেন্দু: এই জেলার রাজনীতি আমি জানি। আমি একটা সময় তৃণমূলে ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানকার লোক পছন্দ করে না। গতবার বিধানসভায় ১২-০ করেছিল। আর লোকসভা ভোটে ৬টা ভোটে এগিয়ে বিজেপি, বাম-কংগ্রেস ৬। তৃণমূল ০। মালতীপুরের বিধায়ক আমার গাড়ির দরজা খুলত। ওর নাম আমি মুখে আনব না। ও আগে RSP করত। আমাকে প্রণাম করা আর দরজা খোলা ওর ডিউটি ছিল। আমি বলে গেলাম..ওদের তো ৭৫ শতাংশ মুসলিম ভোট? ও ব্যাটা বড়-বড় কথা বলে? বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুদিনের মধ্যে জেলে ঢোকাব। বলছে মালদহে এলে ঠ্যাং ভেঙে দেব! আমি এখন মালদহে। এদের ইতিহাস আমি জানি।
শুভেন্দু: এবার ১২টার মধ্যে ১১টা সিট জেতাতে হবে। ওই সুজাপুরটা হবে না। আমরা ৮ শতাংশ। ওরা ৯২ শতাংশ। বাকি সব সিট জেতাতে হবে। এই শপথ নিতে। আমি বলি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সঙ্গে বিকল্প সঙ্কল্প। ভোট ঘোষণা হলেই আমাদের জাতীয় নেতারা সংকল্প পত্র জিতে যাবে। গোটা দেশে একটি দুটি রাজ্য ছাড়া বিজেপি জিতেছে। প্রতিটি রাজ্যে বিজেপি সংকল্প পত্র পূরণ করেছে।
শুভেন্দু: ভাতা দিয়ে হিন্দুদের ভোট ভাঙতে জানেন। ছাপ্পা মেরে মৃত ভোটার, আর বাংলাদেশের মুসলমান, যে একবার জেলায় ভোট দিল, সেই আবার কলকাতায় ভোট দিল। ভোটের বিভিন্ন দফার সুযোগ নিচ্ছেন।
শুভেন্দু: সনাতনী ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় অমুসলিমদের বিভক্ত করতে চায়। আদিবাসীদের সঙ্গে কুড়মিদের ঝগড়া লাগাতে চায়। পাহাড়ে ১১টা বোর্ড বানিয়েছে। রাজবংশীদের বিভাজিত করো।
শুভেন্দু: বিজেপি গুটখা খোরদের পার্টি। হিন্দিভাষীদের পার্টি, গুজরাটিদের পার্টি। কখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শুনেছেন যে, বাংলাভাষী মুসলমান ও উর্দু ভাষী মুসলমান।
শুভেন্দু: আমি আহ্বান করব শুধু বুথ কমিটি করলে হবে না। গ্রামে-গ্রামে ধর্মরক্ষা কমিটি তৈরি করতে হবে। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য,শুদ্রদের নিয়ে জোট বাঁধতে হবে।
শুভেন্দু: CAA-কে NRC বলে ভয় দেখাচ্ছিল। CAA তো চালু। ওটা তো তাড়িয়ে দেওয়ার আইন নয়।
মমতা বলেন, ধর্ম যার-যার উৎসব সবার। আর আমি বিরোধী দলনেতা বলি, ধর্ম যার-যার রক্ষা করার দায়িত্ব তার তার।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours