২০১৮ সাল ও ২০২৩ সালে মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত মেহুল চোকসীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। মুম্বইয়ের আদালতের সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই চোকসীর প্রত্যর্পণের আবেদন জানান হয়েছিল বেলজিয়াম সরকারের কাছে। অবশ্য, সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন চোকসী। তবে সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প জেলা আদালত প্রত্যর্পণে অনুমোদন দেয়।
আবার ধাক্কা! চোকসীকে ভারতে ফেরানোর পথ আরও প্রশস্ত করল বেলজিয়ামের আদালত
মেহুল চোকসী
নয়াদিল্লি: মেহুল চোকসীকে ফেরানোর পথ আরও প্রশস্ত হল বললেই চলে। জেলা আদালতের দেওয়ার রায় বহাল রাখল বেলজিয়ামের এক আপিল আদালত। চলতি বছরের শুরু থেকেই আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত মেহুল চোকসীকে ফেরাতে সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। সেই আবহে এই রায়কে সাফল্য হিসাবেই চিহ্নিত করেছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিএসএফ-এ যোগ দেওয়ার পাঁচ মাসের মাথায় নজির গড়লেন শিবানী
গতবছর বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প জেলা আদালতের প্রাক-বিচারীয় চেম্বার মেহুল চোকসীর প্রত্যপর্ণে অনুমোদন দিয়েছিল। সম্প্রতি, সেই জেলা আদালতের দেওয়া রায়কেই বহাল রাখল অ্যান্টওয়ার্পের চার সদস্যের আপিল আদালত। যার জেরে চোকসীকে ভারতে ফেরানোর কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ।
কী রায় দিয়েছিল জেলা আদালত?
২০১৮ সাল ও ২০২৩ সালে মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত মেহুল চোকসীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। মুম্বইয়ের আদালতের সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই চোকসীর প্রত্যর্পণের আবেদন জানান হয়েছিল বেলজিয়াম সরকারের কাছে। অবশ্য, সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন চোকসী। তবে সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প জেলা আদালত প্রত্যর্পণে অনুমোদন দেয়। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল আদালতে দ্বারস্থ হন চোকসী।
জেলা আদালতের দেওয়া রায়কে ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ বলে নিজের আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন চোকসী। তবে আপিল আদালত তাঁর আর্জি খারিজ করে জেলা আদালতের রায়কেই বহাল রেখেছে। পাশাপাশি, আদালতে চোকসী দাবি করেছিলেন, তাঁকে ভারতে পাঠানো হলে, আর্থিক তছরুপের মামলাগুলিতে সঠিক ভাবে বিচার হবে না এমনকি, তাঁর উপর অত্যাচার চালানোও হতে পারে। অবশ্য চোকসীর এই যুক্তিও মানতে নারাজ বেলজিয়ামের সেই আদালত। অর্থাৎ ঋণখেলাপির অভিযোগে অভিযুক্ত মেহুল চোকসীর আর ‘পালানোর পথ’ রইল না বললেই চলে। প্রত্যর্পণেও রইল না কোনও বাধা। অবশ্য একাংশের আইনজ্ঞদের মতে, আপিল আদালত তাঁর আর্জি খারিজ করলেও, এখনও সুপ্রিম কোর্ট রয়েছে। আপিল আদালতের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হতে পারেন চোকসী। তবে ভারতে প্রত্যর্পণ রুখতে এটাই হবে শেষ পদক্ষেপ।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours