কিন্তু এই দায়িত্ব যে প্রথম থেকেই জেলাশাসকদের কাঁধে ছিল এমনটা একেবারেই নয়। রাজ্যের ৮০ হাজারেরও বেশি বুথ সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছিল রাজ্য সরকার অধীনস্থ ম্যাকিনটোস বার্ন। পশ্চিমবঙ্গের পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগ বা পিডব্লিউ বিভাগের আওতায় কাজ করে এই সংস্থাটি।
কমিশনের দেওয়া দায়িত্ব থেকে 'মুখ ফেরাল' রাজ্য অধীনস্থ সংস্থা, সমাপতন নাকি সংঘাত?
বাঁদিকে নবান্ন, ডানদিকে নির্বাচন কমিশন
বাংলায় SIR সম্ভবনা যত বাড়ছে, ততই যেন রাজ্যের সঙ্গে ‘বিস্বাদ’ হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশনের সম্পর্ক। কেউ কেউ বলছেন, এই লড়াই প্রত্যক্ষ নয়, বরং পরোক্ষ। রাজ্যের বুথ সংস্কারের জন্য যে দায়িত্ব নিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ম্যাকিনটোস বার্ন। এখন সেই দায়িত্ব থেকেই ‘পালাতে’ চাইছে তাঁরা।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বুথ সংস্কারের কাজ জেলাশাসকদের সপে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আপাতত, বুথে বুথে পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব তাঁদেরই। কিন্তু এই দায়িত্ব যে প্রথম থেকেই জেলাশাসকদের কাঁধে ছিল এমনটা একেবারেই নয়। রাজ্যের ৮০ হাজারেরও বেশি বুথ সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছিল রাজ্য সরকার অধীনস্থ ম্যাকিনটোস বার্ন। পশ্চিমবঙ্গের পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগ বা পিডব্লিউ বিভাগের আওতায় কাজ করে এই সংস্থাটি।
প্রথমদিকে কমিশনের থেকে বুথ সংস্কারের কাজ নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখালেও, বর্তমানে ‘গা বাঁচাতে’ চাইছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। ইতিমধ্যেই রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের দফতরে দুঃখ প্রকাশ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ওই রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা। তাতে তাঁরা তুলে ধরে সংস্কারের দায়িত্ব থেকে সরে আসার কথা। পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্তের পর তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশন যাতে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেয়, চিঠিতে সেই নিয়েও আর্জি জানিয়েছে ম্যাকিনটোস বার্ন।
তারপরই বুথ সংস্কারের দায়িত্ব জেলাশাসকদের হাতে সপে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাঁদের গাইডলাইন মেনেই রাজ্যের ৮০ হাজারেরও বেশি বুথে সংস্কার করতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করেই কমিশনের দেওয়া দায়িত্ব থেকে কেন সরে গেল ম্যাকিনটোস বার্ন? ,সমাপতন নাকি সংঘাত? এসআইআর আবহে তীব্র হয়ে উঠছে না তো রাজ্য বনাম কমিশন দ্বন্দ্ব?
উল্লেখ্য, এসআইআর নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। বৃহস্পতিবার ভোটমুখী রাজ্য়গুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে দিল্লিতে একান্ত বৈঠক করেছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলা, অসম, কেরল, পুঁদুচেরি ও তামিলনাড়ুর সিইওরাও। তারপরই শুক্রবার মাদ্রাজ হাইকোর্টে কমিশন জানিয়েছে, এক সপ্তাহ বা তার আশপাশের মধ্যে তামিলনাড়ুতে এসআইআর শুরু হয়ে যাবে। দক্ষিণী রাজ্যে ভোটার তালিকার পরিমার্জনের ঘোষণা হতেই বাংলাতেও বেড়েছে বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর-র শুরুর জল্পনা। এবার সেই আবহেই যেন ভেসে উঠল সংঘাতের ছবিও।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours