আজ তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক। প্রথম থেকেই একেবারে ঢাল-তরোয়াল নিয়ে কার্যত কমিশনের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধে' নামেন তৃণমূল সাংসদ। সর্বপ্রথম প্রশ্ন তোলেন, অসমে কেন SIR হচ্ছে না? সেখানে বিজেপি ক্ষমতায় আছে বলেই কি SIR হচ্ছে না?


 'দেশ ছেড়ে পালাবেন না...যেখানে থাকবেন খুঁড়ে নিয়ে আসব', জ্ঞানেশ কুমারকে 'ওয়ার্নিং' অভিষেকের
অভিষেকের আক্রমণ জ্ঞানেশকুমারকে

কখনো বলছেন, ‘ঘেরাও করবেন’, কখনো আবার বলছেন, ‘যেখানেই থাকুন খুঁড়ে বের করে নিয়ে আসব’। গতকাল অর্থাৎ সোমবার এসআইআর (SIR) ঘোষণার পরেই মুখ্য নির্বাচনে আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমারকে কার্যত একহাত নিলেন ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘একহাত’ বলা ভুল। বলা ভাল, একেবারে ‘ওয়ার্নিং’ দিয়ে বসলেন তিনি।

SIR নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। বারেবারে তাঁদের বলতে শোনা গিয়েছে, বাংলায় একজন বৈধ নাগরিকের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। আজ দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও একই সুর। একই ভঙ্গিতে একবার নয়, একাধিকবার বললেন, বৈধ নাগরিকের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলা হবে না কমিশনকে। এমনকী, নির্বাচন কমিশনের অফিসও ঘেরাও করবেন তাঁরা।



দরজা ভাঙা নিয়ে সূত্রপাত,স্ত্রীর সামনেই শেষ হয়ে গেলেন যুবক
আজ তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক। প্রথম থেকেই একেবারে ঢাল-তরোয়াল নিয়ে কার্যত কমিশনের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ নামেন তৃণমূল সাংসদ। সর্বপ্রথম প্রশ্ন তোলেন, অসমে কেন SIR হচ্ছে না? সেখানে বিজেপি ক্ষমতায় আছে বলেই কি SIR হচ্ছে না? এমনকী, ভারতের ম্যাপ খুলে রাজ্যগুলির অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের স্পষ্ট বক্তব্য, অসমেও বাংলাদেশের বর্ডার আছে। তাহলে শুধু বাংলাতেই কেন SIR? তিনি বলেন, “যে পাঁচটা রাজ্যে ভোট আছে, খুব কৌশলের সঙ্গে অসমকে বাদ দিয়েছে। কারণ বিজেপি ক্ষমতায় আছে। তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে SIR হবে না।”

এরপর এই এসআইআর-এর পিছনে কমিশনের ‘অভিসন্ধি’ কী রয়েছে সেটাও কার্যত স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, “আসলে ওদের উদ্দেশ্য বাংলাকে অপমান, বাংলা ভাষাকে বিদ্রুপ, বাঙালিকে বাংলাদেশি বেল দাগানো। আগেও বলেছি, একটা বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে বাংলার এক লক্ষ লোক গিয়ে কমিশনের অফিস ঘেরাও করবে। অমিত শাহের দিল্লিপুলিশ আটকে দেখাক।” তাঁর অভিযোগ, আসলে বিজেপি হারবে সেই কারণেই ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিষেক বলেন, “SIR হওয়ার পরও তৃণমূলের যা ভোটের আসন ছিল একুশে তা একটা হলেও বাড়াব। কমার জায়গায় নেই। বিজেপিকে পঞ্চাশে নামাব। ক্ষমতা থাকলে চ্যালেঞ্জ নিন। আর এসআইআর হওয়ার পর যদি হারে, তারপর বিজেপি নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করে বলুন, আমরা দুলক্ষ কোটি টাকা বকেয়া ছেড়ে দেব। নাহলে আপনারা যা বলবেন তাই করব।”

এরপরই একদম সরাসরি আক্রমণ শানান জ্ঞানেশ কুমারকে। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমি সাংসদ হিসাবে এদের ওয়ার্নিং দেব, আজ নয় কাল সরকার বদলাবে। জ্ঞানেশবাবু দেশ ছেড়ে পালাবেন না। বিজেপি থাকবে না, দেশের সংবিধান থাকবে। অমিত শাহ থাকবে না। তখন যেখানে থাকবেন খুঁড়ে নিয়ে আসব। জবাবদিহি মানুষের কাছে দিতে হবে। আপনার অনেক তথ্য আমাদের কাছে আছে। সময় মতো সব মানুষের কাছে উপস্থাপিত করব।” এখানেই শেষ নয়, তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এই বাংলায় অতিথি হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, “আমি বলব জ্ঞানেশকুমার কবে বাংলায় এসেছেন? অতিথি হয়ে আসুন। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে এক করবেন না। ইতিহাস পড়ুন এখানকার। বাংলা না থাকলে যে ভাষায় কথা বলছেন বলতে পারতেন না।“
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours