বেশিরভাগ জেলায় ম্যাপিংয়ের ছবি দেখে চিন্তার ভাঁজ কমিশনের অন্দরে। বিহারে SIR হলেও আগে ম্যাপিং হয়নি। পরে দেখা গিয়েছে, ষাট শতাংশ ভোটারের মিল ছিল আগের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার সঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, এই রাজ্যে এমন ছবি কেন? বিজেপির দাবি, সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশিরা ঢুকে পড়ছে। পরে তারা বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র বানিয়ে আনছে।


জেলায় জেলায় ম্যাপিংয়ের ছবিতে চিন্তার ভাঁজ কমিশনের কপালে, উঠছে একাধিক প্রশ্ন
এত অমিল থাকার কারণ নিয়ে কী মনে করছে কমিশন?


বাংলায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (SIR) ঘোষণা এখনও করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে জেলায় জেলায় ম্যাপিংয়ে যে ছবি উঠে এসেছে, তাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। বেশিরভাগ জেলায় বর্তমান ভোটার তালিকার সঙ্গে পঞ্চাশ শতাংশও মিল পাওয়া যাচ্ছে না ২০০২ সালের ভোটার তালিকার। দুই ২৪ পরগনায় পঞ্চাশও পার করতে পারেনি ম্যাপিং। হাওড়ার চিত্র আরও খারাপ। জেলাজুড়ে অর্ধেক মানুষকেই এবার কাগজপত্র দেখাতে হবে। কিন্তু কেন এত কম মানুষের নাম থাকল ভোটার তালিকায়? তবে কি জনবিন্যাসে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে?


বাংলায় এসআইআর শুরুর আগে জেলায় জেলায় ‘ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিং’-র কাজ শেষ হয়েছে। জেলায় জেলায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হয়। সেখানে দেখা যায়, হাওড়ায় দুই ভোটার তালিকায় মিল রয়েছে ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ হাওড়ায় বর্তমান ভোটার তালিকার ৬২ শতাংশের নাম উঠেছে ২০০২ সালের পর। হুগলিতে দুই ভোটার তালিকায় মিল ৫৬ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনায় তা ৪১ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪৫ শতাংশ। দক্ষিণ কলকাতায় ৩৫ শতাংশ, উত্তর কলকাতায় ৫৩ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬৪ শতাংশ ও পূর্ব মেদিনীপুর ৬৭ শতাংশ মিল পাওয়া গিয়েছে।



‘কে ৩০ বছর বাঁচবে, না কে ৩০ ঘণ্টা বাঁচবে…’, বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ফের বিস্ফোরক হুমায়ুন
আবার কোচবিহারে দুই ভোটার তালিকার মধ্যে মিল ৪৮ শতাংশ। আলিপুরদুয়ারে তা ৫৪ শতাংশ, কালিম্পংয়ে ৬৫ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুরে ৪৪ শতাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৫৫ শতাংশ, মালদহে ৫০ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ৫৬ শতাংশ, নদিয়ায় ৫১ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ৬৩ শতাংশ, বাঁকুড়ায় ৭৯ শতাংশ, বীরভূমে ৫৩ শতাংশ, পূর্ব বর্ধমানে ৭৩ শতাংশ এবং পশ্চিম বর্ধমানে ৩১ শতাংশ মিল রয়েছে।

বেশিরভাগ জেলায় ম্যাপিংয়ের ছবি দেখে চিন্তার ভাঁজ কমিশনের অন্দরে। বিহারে SIR হলেও আগে ম্যাপিং হয়নি। পরে দেখা গিয়েছে, ষাট শতাংশ ভোটারের মিল ছিল আগের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার সঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, এই রাজ্যে এমন ছবি কেন?

বিজেপির দাবি, সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশিরা ঢুকে পড়ছে। পরে তারা বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র বানিয়ে আনছে। তাই ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটারদের এত কম মিল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানের মতো অন্য রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় এত কম মিল কেন? বলা হচ্ছে, সেখানে ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষ আসছেন কাজের সন্ধানে। পরে তাঁরা আবার সেখানেও না থেকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছেন। কমিশনের যুক্তি, যে সব মহিলারা বিবাহিত, তাঁরা বিয়ের পর নতুন জায়গায় ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। আবার নতুন ভোটারও বেড়েছে। তবে এসআইআর হলে ম্যাপিংয়ে এই অমিলের সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে বলেই মত কমিশনের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours