তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য। আমি আজকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। কথা বলেছি। পরিবারের পাশে তৃণমূল আছে। তদন্তে কোনওরকম খামতি থাকবে না। ওই ছাত্রীর পরিবার এএসআই জুলি সাহার বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। আমি তখনই পুলিশ সুপারকে ফোন করেছিলাম।"

রামপুরহাটে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে অধীর-আশিস, ২৮ ঘণ্টা পর উঠল অবরোধ
২৮ ঘণ্টা পর উঠল পথ অবরোধ



এখনও উদ্ধার হয়নি রামপুরহাটে নৃশংসভাবে খুন হওয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর হাত ও পা। তাকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে। তার পরিবারের অভিযোগ, শুধু ওই ধৃত শিক্ষকের দ্বারা এই কাজ সম্ভব নয়। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে। শুক্রবার ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। মৃতের বাড়িতে যান তৃণমূল বিধাযক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, যথাযথ তদন্ত নিয়ে পুলিশের আশ্বাস পেয়ে ২৮ ঘণ্টা পর রাস্তা অবরোধ তুলে নিলেন আদিবাসীরা।

এদিন রামপুরহাটে এসে ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সরব হন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, পরিবার সিবিআই চাইলে তাঁরা সাহায্য করতে প্রস্তুত। তার আগে প্রশাসন তাঁদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করুক। বাচ্চাটার মৃত্যু আগে কী হল, তা জানা যায়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ধৃত ওই শিক্ষক একা এই কাজ করেছেন নাকি তাঁর সঙ্গে কেউ ছিলেন, তা তদন্তে করে দেখা দরকার। দেহাংশ একা এতগুলো জায়গায় কি একা ফেলেছেন, তা দেখা দরকার।


ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন শাসকদলের রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় রামপুরহাট থানার এক মহিলা আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়েছে। ওই আধিকারিকের নাম জুলি সাহা। তিনি রামপুরহাট থানার মহিলা এএসআই। ২৮ অগস্ট ওই নাবালিকা ছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার পর জুলি সাহা এই ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন। এদিন দুপুরে তাঁকে ক্লোজ করা হয়েছে। কলকাতা থেকে বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আনা হচ্ছে আইনি লড়াই লড়ার জন্য।




আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও দাবি, পরিবারের লোকজন সিবিআই তদন্তের দাবি করেননি। তিনি বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য। আমি আজকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। কথা বলেছি। পরিবারের পাশে তৃণমূল আছে। তদন্তে কোনওরকম খামতি থাকবে না। ওই ছাত্রীর পরিবার এএসআই জুলি সাহার বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। আমি তখনই পুলিশ সুপারকে ফোন করেছিলাম। তারপরই এসপি জানান, ওই অফিসারকে ক্লোজ করা হয়েছে। তবে স্কুলের যোগ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।”

এদিকে, এদিন রামপুরহাট দুমকা রোড অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনার প্রতিবাদে রামপুরহাট দুমকা রোড অবরোধে নেমেছিলেন আদিবাসীরা। এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের যতক্ষণ না গ্রেফতার করা হবে এবং দেহাংশ উদ্ধার হবে, ততক্ষণ অবরোধ চলবে বলে তাঁরা জানিয়েছিলেন। অবশেষে প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করেন তাঁরা। যান চলাচল শুরু হয় রামপুরহাট দুমকা রাস্তায়। পুলিশের পক্ষ থেকে অবরোধকারী অভিভাবকদের আশ্বাস দেওয়া হয়, পুলিশ সমস্তরকম পদক্ষেপ করবে। দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours