চিরাগ পাসওয়ান বলেন, "আমার মনে হয় এমন একটা সরকারকে সমর্থন করছি যেখানে অপরাধ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই অপরাধ দমন করা খুব জরুরি, নাহলে ফলাফল খুব খারাপ হবে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে।"
নীতীশ সরকারকে সমর্থন করে লজ্জিত চিরাগ! বিহারে ভোটের আগেই ভাঙছে NDA জোট?
বিহারের জোটে ভাঙন?
কয়েক মাস বাদেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। জোরকদমে চলছে ভোটের প্রস্তুতি। তবে তার মাঝেই বড় ধাক্কা! বিহারে কি শাসক এনডিএ জোটে ভাঙন ধরল? রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নিজের সমর্থিত সরকারেরই সমালোচনায় সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এলজেপি-র সভাপতি চিরাগ পাসওয়ান। সরাসরি নীতীশ কুমার সরকারকে দুষলেন তিনি।
বাংলা কম্পালসারি'! শহরের দোকানে দোকানে গেল নির্দেশিকা, জানালেন ফিরহাদ
আসানসোলের 'অপহৃত' কিশোরীকে পাওয়া গেল নাসিকে, উদ্ধারের পরই সামনে এল প্রকৃত ঘটনা
Bihar Election: ১ অগস্ট আসছে সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া! বিহারে পাকাপাকিভাবে বাদ পড়ছে ৬৪ লক্ষ ভোটারের নাম
বিগত প্রায় এক মাস ধরে বিহারে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। কখনও প্রকাশ্য় রাস্তায় শুট আউট, কখনও আবার হাসপাতালে ঢুকে গুলি করে খুন, এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। শনিবারই বিহারে এক যুবতী পুলিশে নিয়োগের পরীক্ষা দিতে গিয়ে গণধর্ষিত হন চলন্ত অ্যাম্বুল্যান্সে। একের পর এক এই ধরনের ঘটনার সমালোচনা করেই চিরাগ পাসওয়ান বলেন, “আমার মনে হয় এমন একটা সরকারকে সমর্থন করছি যেখানে অপরাধ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই অপরাধ দমন করা খুব জরুরি, নাহলে ফলাফল খুব খারাপ হবে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে।”
নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “খুন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, ইভটিজিং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হলেও, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে রাজ্যে? হয় এতে সরকারের হাত রয়েছে নাহলে সরকার এই ঘটনাগুলিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর নাহলে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ, কারণ পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। আমি বিহার সরকারের কাছে অনুরোধ করছি পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই যেন পদক্ষেপ করা হয়।”
তবে এরপরই সরকারের প্রতি হালকা সুর নরম করে তিনি বলেন যে সামনেই নির্বাচন থাকায় কেউ সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে হয়তো এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে প্রশাসনের দায়িত্ব হল রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
এদিকে, নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড)-ও চুপ থাকেনি। চিরাগ পাসওয়ানকে আক্রমণ করে জেডিইউ বলে যে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছে, তাদের উচিত অপরাধীদের নিজের দলে নেওয়া বন্ধ করা।
জেডিইউ-র মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন প্রসাদ বলেন, “কোনও মন্তব্য করার আগে, তাদের নিজের দিকে দেখা উচিত। যারা বিহারের আইন-শৃঙ্খলার সমালোচনা করছেন, তাদের তাদের উচিত অপরাধীদের নিজের দলে নেওয়া বন্ধ করা। যদি ভাবেন যে পরামর্শ ও সমালোচনা করাই যথেষ্ট, তবে ভুল ভাবছেন। কোনও রাজ্য অপরাধমুক্ত হতে পারে না। গুরুত্বপূর্ণ হল যে বিহার সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে। ১০০-রও বেশি ফাস্ট ট্রাক আদালত তৈরি করা হয়েছে বিহারে।”
প্রসঙ্গত, বিহারে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা শোনা যাচ্ছে যে নীতীশ কুমারকে কোণঠাসা করছে বিজেপি। গতবারও জেডিইউ-র ভোট কাটাকাটিতে হাত ছিল বিজেপিরই। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেস, আরজেডির সঙ্গে জোট সরকার গড়লেও, লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের জোট বদল করে এনডিএ-তেই ফেরেন নীতীশ। ওই জোটের অংশ প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের দল এলজেপি-ও। তাঁর ছেলে চিরাগ পাসওয়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ পেয়েছেন। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, জাতীয় রাজনীতি ছেড়ে রাজ্য রাজনীতিতেই ফিরতে চাইছেন চিরাগ। আর সেখানেই তাঁর প্রধান নিশানাই হল নীতীশ কুমার। এবার জোটের সমীকরণ কোন দিকে মোড় নেয়, তা-ই দেখার।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours