শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আমরা সর্বদা বলেছি কারও নাম যেন বাদ না যায়। রিভিউ নিয়ে সমস্য়া তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, কমিশনের সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় যাঁরা ১৯৮৭ সালের পরে জন্মেছেন তাঁদের মা-বাবার জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান সংক্রান্ত তথ্য় দেওয়ার শর্ত ছিল।

‘বেস লেভেল হওয়া উচিত ২০২৪’, ভোটার পরিমার্জন নিয়ে বড় দাবি রাখল তৃণমূল, কী বলছে কমিশন?
কমিশনে তৃণমূল


 বিহারের ভোটে কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক জারি। ভোটার তালিকা পরিমার্জন নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের শেষ নেই। রাজ্যে ভোটের যখন আর কয়েক মাস বাকি, তার আগে সুর চড়িয়েছে আরজেডি-ও। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তোপের পর তোপের মুখে কিছুটা বলেও অন্যপথে চলতে চাইছে কমিশন। দেওয়া হচ্ছে ছাড়। এরইমধ্যে এদিন দিল্লির সদর দফতরে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করল তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে বেরিয়ে কল্যাণ বললেন, ওনারা কিছুটা সরে আসছেন। বিবেচনা করবেন বলছেন। কিন্তু কোন কোন বিষয়ে? 


শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “আমরা সর্বদা বলেছি কারও নাম যেন বাদ না যায়। রিভিউ নিয়ে সমস্য়া তৈরি হয়েছে।” প্রসঙ্গত, কমিশনের সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় যাঁরা ১৯৮৭ সালের পরে জন্মেছেন তাঁদের মা-বাবার জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান সংক্রান্ত তথ্য় দেওয়ার শর্ত ছিল। এখন যদিও তা থেকে কমিশন কিছুটা সরে এসেছে। কল্য়াণ বলেছেন, এদিন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে কর্তারা বারবার বলছেন তৃণমূলের দাবি ‘বিবেচনা’ করার কথা বলছেন। কল্যাণ বলছেন, ১৯৮৭ সালে নাম না থাকলে যে হবে না শোনা যাচ্ছিল তা থেকে ওনারা এ থেকে সরে এসেছেন। আমরা বলেছি বেস লেভেল হওয়া উচিত ২০২৪। ওনারা বলছেন বিবেচনা করব। 



রুক্মিণী নাকি শুভশ্রী, বছরের প্রথম ছ' মাসে বক্স অফিস লড়াইয়ে কে টেক্কা দিল?
অফারের পর অফার, ১২ বছরের ছোট বউকে কী করতে বাধ্য করেছিলেন শক্তি কাপুর?

মুহূর্তে ছিটকে যায় সবাই, ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরোল ৩৫ জনের লাশ
Kalyan PC
সাংবাদিক বৈঠকে কল্যাণ

তৃণমূলের দাবি, ২০২৪ সালে যে সব ভোটার আছে সে সব ভোটার লিস্টে থাকবেই কোনও শর্ত ছাড়াই। কল্য়াণ বলছেন, “ওরা এটা নিয়ে নোট নিয়েছেন। বলেছেন আমরা চিন্তা-ভাবনা করব। জন্মের শংসাপত্র নিয়ে সমস্যা হয়েছিল (১৯৮৭, ২০০৩), ওরা বলেছে আমরা এতে রিলাই করব না। যাঁরা ভোটার আছে তাঁরা ভোটার থাকবে।”   

মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং হরিয়ানার নির্বাচনেও আগেও একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে। সে কথাও এদিন কমিশনের কর্তাদের মনে করিয়েছেন কল্য়াণরা। কী করে ভোটের তিন থেকে চার মাস আগে বড় অংশের ভোটারের নাম যোগ হয়ে যাচ্ছে তালিকা? প্রশ্ন বিরোধীদের। এই প্রসঙ্গ বৈঠকেও উঠেছিল বলে দাবি কল্যাণের। তিনি বলছেন, দেওয়া হয়েছিল। আমরা এটা বলি। কমিশন বলছে, “নমিনেশন জমা দেওয়ার দিন পর্যন্ত ভোটার লিস্টে নাম তোলা যায়। তারপর তোলা যায় না। অর্থাৎ ভোটের আগে ২৪ দিন তোলা যায় না। আমরা বলি এটাও অসুবিধা তৈরি করছে। আমরা বলছি ১৮, ২১ বছরের ভোটার নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু ৫০, ৬০ বছরের ৪০ হাজার ভোটার সেই সময় কী করে হয়! এই জায়গায় ওরা বলছে ওরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন।”  
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours