জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে তাঁর ছেলে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন এক পুলিশকর্মী। এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলেন। চারদিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। হাসপাতালে সুপার-সহ অন্যদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।


ছেলে ফেলে চলে গেল, হাসপাতালের সামনে ৪ দিন ধরে পড়ে মরণাপন্ন রোগী
কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে পড়ে রয়েছেন রোগী

পরনে কোনও পোশাক নেই। শুয়ে আছেন ট্রলির উপর। এক-দুই ঘণ্টা নয়। গত চারদিন ধরে কল্যাণী JNM হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে এভাবেই পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। বাড়ির লোকেরা তাঁকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যান বলে হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে। কিন্তু, হাসপাতালের সামনে এভাবে ট্রলিতে এক ব্যক্তি পড়ে থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালের ক্যাম্পাসে থাকা পুলিশ আউট পোস্টে ঘটনাটি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

এই হাসপাতালে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার সুপারভাইজার সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে ছুটি হয়ে যায়। গত ১০ জুলাই ট্রলিতে করে ওঁর ছেলে এখানে এনে রাখেন। তখন আমরা তাঁর ছেলেকে বলি, এখানে রেখেছেন কেন? ওঁর ছেলে বলেন, আমরা রাতে নিয়ে যাব। তারপর ওঁর ছেলে চলে যান। সেই থেকে উনি এখানেই পড়ে রয়েছেন। হাসপাতালের সুপারও জানেন। প্রশাসনও জানে। কিন্তু, তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রোগীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারা নিয়ে যাচ্ছে না।”



গোপনে প্রেম, বিয়ে করলেন অভিনেত্রী রূপালি, পাত্র কে জানেন?
আলু চাষ করতেন বলে অপয়া বলে দাগিয়ে ছিল গোটা গ্রাম, বাধ্য হয়ে চরম সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেতার
ভিডিয়ো: বিয়ের পর চলছিল আঙটি খোঁজার খেলা, হঠাৎ হাতাহাতি!
ওই ব্যক্তি এইচআইভি পজিটিভে আক্রান্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে পারছেন না। বারবার জিজ্ঞাসা করার পর নিজের নাম বললেন। বয়স ৬২ বছর। নদিয়ার চাকদহ থানার ব্রহ্মপাড়ায় বাড়ি বলে জানালেন। ছেলের নামও জানালেন। কিন্তু, তাঁর ছেলে কেন এখানে ফেলে রেখে চলে গিয়েছেন, তা বলতে পারছেন না। জানালেন, একসময় উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে তাঁর ছেলে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন এক পুলিশকর্মী। এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলেন। চারদিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। হাসপাতালে সুপার-সহ অন্যদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এভাবে নগ্ন অবস্থায় বহির্বিভাগের সামনে এক রোগী পড়ে থাকায় হাসপাতালে আসা অন্য রোগী ও তাঁদের পরিজনরা প্রশ্ন তুলছেন। প্রশ্ন উঠছে, ওই ব্যক্তির পরিবার তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে না গেলেও কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন?
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours