বুধবার রাত থেকে বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন আধুনিক ইন্টারলকিং সিগন্যালিং রুমের সামনে চলছিল কাজ। কাজ করছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। রেলের অভিযোগ, তাদের কাজের সময় ১৬টি সিগন্যালিং তারে সেই মাইক্রোটানেলিং মেশিনের কোপ পড়ে।
রেলের অভিযোগ সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর’, বারুইপুরে সিগন্যাল বিভ্রাট নিয়ে সাফাই রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের
রেল কী বলছে?
সারাদিন গোলযোগ। নাভিশ্বাস উঠল যাত্রীদের। দেরিতে চলল ৩৭টি ট্রেন। রেলের ক্ষতির অঙ্কটা প্রায় ৬২ লক্ষ। রেল বলছে, পুরো দায়টাই রাজ্যের। কোনওরকম আগাম নোটিস ছাড়া রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের কাজের ফলেই বারুইপুরে ভেঙে পড়ল সিগন্যাল সিস্টেম। তার জেরে দাঁড়িয়ে গেল একের পর এক ট্রেন। শেষে চললেও, তা দেরিতে। নাকাল যাত্রাীরা। রাজ্যের কাছে ক্ষতির অঙ্কটাও পাঠিয়ে দেয় রেল। যদিও এবার রাজ্য এবার রেলের তরফে তোলা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিল।
সোজা কথায়, বারুইপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতর নিজেই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করল। তাঁদের দাবি, যাবতীয় প্রটোকল মেনে কাজ হয়েছে। বারুইপুর শহরের মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই মাঠে নেমেছিল বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। রেলের তরফে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন বলেই দাবি তাদের।
বুধবার রাত থেকে বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন আধুনিক ইন্টারলকিং সিগন্যালিং রুমের সামনে চলছিল কাজ। কাজ করছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। রেলের অভিযোগ, তাদের কাজের সময় ১৬টি সিগন্যালিং তারে সেই মাইক্রোটানেলিং মেশিনের কোপ পড়ে। তার ছিঁড়ে যায়। যদিও এখন বিদ্যুৎ দফতর বলছে রাস্তার যেদিকে সিগনালের কেবিল রয়েছে এদিকে কাজ হয়নি। ওই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করে বারইপুর পৌরসভা। তাই পুরসভার সঙ্গে কথা বলেই রাস্তা নিচে থাকা বিদ্যুতের তার মেরামতের কাজ শুরু হয়েছিল। তাই পূর্ব রেল যে অভিযোগ আনছে সেটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং ভুল।
যদিও শিয়ালদহের ডিপিও একলব্য চক্রবর্তী বলছেন, “রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতর আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই এই কাজ করেছে। তাতেই সিগন্যাল লাইনে কোপ পড়েছে। আমাদের বড়সড় আর্থিক ক্ষতি যেমন হয়েছে তেমনই বহু ট্রেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরিতে চলেছে। বিদ্যুৎ দফতরের পরিকল্পনাহীন কাজের জন্যই এই অবস্থা।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours