প্রায় সাড়ে ৫০০০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতির কারবারিদের মতে, উন্নয়নের অস্ত্রেই শান দিতে চান নরেন্দ্র মোদী। সেই কারণে উন্নয়নে বিজেপিই ভরসা বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ছাব্বিশের ভোটের আগে মোদীর বঙ্গে আসা নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বাংলার অস্মিতা বিজেপির কাছে সুরক্ষিত: মোদী
দুর্গাপুরে মোদী
‘ডাবল অ্যাটাক হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থায়’
শিক্ষা ব্য়বস্থাকে ধ্বংসের মুখে ফেলেছে। ডাবল অ্যাটাক হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। এই যে শিক্ষকরা যাদের চাকরি নেই এটাও তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য।
আর স্কুলে যাঁরা পড়ে তাঁদের ভবিষ্যতও নষ্ট হচ্ছে শিক্ষক না পাওয়ায়। বর্তমান-ভবিষ্যত সব নষ্ট হচ্ছে।
মা-মাটি-মানুষের সরকারের আমলে নারী নির্যাতন। এটা সেখানে হচ্ছে যেখানে কাদম্বিনী গাঙ্গুলী জন্মগ্রহণ করেছেন। যিনি প্রথম মহিলা ডাক্তার। সেই খানে জায়গায় নারী নির্যাতন।
আরজি করের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের আবার একটা কলেজে মহিলা নির্যাতন। সেখানেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। নির্যাতিতাতেই এখানে দোষী বলা হচ্ছে।
তৃণমূল আর বামেরা বাংলাকে ধ্বংস করে দিল। বিজেপি-ই বাংলাকে ধ্রুপদীর মর্যাদা দিয়েছে। দেশে যেখানে বিজেপি সেখানেই বাংলাকে সম্মান দিয়েছে। বাংলার অস্মিতা বিজেপির কাছে সুরক্ষিত।
18 Jul 2025 05:17 PM (IST)
‘সিন্ডিকেটরাজ দেখে বিনিয়োগকারীরা পালিয়ে যায়’
বিকশিত ভারতে পশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
অনেক বছর পর বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে অসমে। আগে ত্রিপুরার কী অবস্থা ছিল সকলে জানে। সেখানে এখন উন্নয়ন হচ্ছে।
তাই আমি বলছি একবার বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসুন। একটা সরকার যে ইমানদার-দমদার হোক। বিকশিত বাংলা মোদীর গ্যারান্টি।
বাংলার পুরনো গৌরব ফেরাতে হবে। যতদিন তৃণমূলের সরকার থাকবে উন্নতি করতে দেবে না।
কয়েক বছর ধরে যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা বাংলার নীতি বিরোধী। ভাবুন, মুর্শিদাবাদে ছোট ছোট ঘটনায় হিংসা হয়। পুলিশ এক তরফা তদন্ত হয়।
এখানের সরকার মানুষের প্রাণ ও তাঁদের দোকানের সুরক্ষা দিতে পারে না। তাহলে বিনিয়োগ হবে কী করে? সিন্ডিকেটরাজ দেখে পালিয়ে যায়। বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা চায়। তৃণমূলের গুণ্ডা ট্যাক্স বাংলায় বিনিয়োগ করে না। সেই কারণে তৃণমূলের আমলে শতাধিক কোম্পানি রাজ্য ছেড়ে চলে গেছে। সেই কারণে বাংলার হাল বেহাল। তাই সকলে বলছে তৃণমূল হঠাও বাংলা বাঁচাও।
তৃণমূল গেলেই আসল পরিবর্তন আসবে: মোদী
বাংলায় নতুন কারখানা হবে, সিএনজি গাড়ি চলবে। এতে তরুণ প্রজন্ম কাজ পাবে।
স্বাধীনতার পরও বহু বাড়িতে গ্যাসের কানেকশন একটা স্বপ্ন ছিল। আর আমরা ক্রমাগত চেষ্টা করছি যাতে প্রতিটি বাড়িতে স্বস্তায় গ্য়াস পৌঁছয়।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গ টপ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রাজ্যের মধ্যে একটি রাজ্য হবে। কারণ এখানে প্রতিভাশালী ভাই বোন আছে। এখানে নদী আছে, সমুদ্র আছে। বহুবছর ধরে এটি আমদানি-রফতানির কেন্দ্র।
এখানকার তৃণমূল সরকার বাংলার বিকাশের সামনে দেওয়ালের মতো বাধা। যে দিন এই দেওয়াল পড়ে যাবে সেই দিনই বাংলায় উন্নয়ন হবে। তৃণমূল গেলেই আসল পরিবর্তন আসবে।
মোদী
শ্রাবণ মাস পুণ্যের। এই মাসে বাংলার উন্নতির জন্য কাজের সুযোগ পাচ্ছি।
বিজেপি এই রাজ্যের জন্য অনেক স্বপ্ন দেখেছে।
বাংলার মাটি প্রেরণায় ভরা। এই মাটি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর। দেশের শিল্প মন্ত্রী ছিলেন।
দ্বারকানাথ ঠাকুর, বিধানচন্দ্র রায়রা এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন।
এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এখানকার তরুণ প্রজন্ম এখান থেকে চলে যাচ্ছে কাজের জন্য। দুর্গাপুর, বর্ধমান, আসানসোল একসময় ভারতের গতিতে সাহায্য করত।
বাংলা উন্নয়ন চায়। বাংলা পরিবর্তন চায়।
‘কিছুদিনের জন্য দলের রঙ ভুলুন’, আবেদন শমীকের
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলা পরিত্রাণ চায়। বাংলা মুক্তি চায়, বাংলার ঘরের ছেলেকে ঘরের ভাত খাওয়াতে চায়। বাংলার মানুষ শিল্পায়ন চায়। প্রধানমন্ত্রীর সালে একটাই আবেদন আপানি আমারেদর ১৯৫০-১৯৬০ সালের দুর্গাপুর আসানসোলকে ফেরান। তিন ফসলী জমিকে কেড়ে শিল্প গড়ার প্রয়োজন নেই। আমরা ক্ষমতায় এলে ১ বছরের মধ্যে শিল্প করে দেখাব। আমাদের সব আছে। টাকা, মেধা, লোকবল, জল, মাটি সব আছে। আমরা প্রথমে ভারতীয় তারপর বাঙালি। এই শিক্ষা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্রের শিক্ষা। আমরা বাংলাকে পশ্চিম বাংলাদেশ হতে দেব না, ইসলামিক রিপাবলিক হতে দেব না। তাই আবেদেন, কাউকে পতাকা ছাড়তে হবে না। কিছুদিনের জন্য দলের রঙ ভুলুন। তৃণমূলকে আগে সরান তারপর দল বাছবেন।”
বিহারে থাকাকালীনই বাংলার জন্য এ দিন বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, “বীরভূম হবে বেঙ্গালুরু, জলপাইগুড়ি হবে জয়পুরের মতো।”
আজ বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে সভা রয়েছে তাঁর। কয়েকদিন আগেই তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঘুরে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বঙ্গ সফর নিয়ে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আহ্বান করলেন যাতে সকলে সভায় যোগদান করেন।
প্রায় সাড়ে ৫০০০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতির কারবারিদের মতে, উন্নয়নের অস্ত্রেই শান দিতে চান নরেন্দ্র মোদী। সেই কারণে উন্নয়নে বিজেপিই ভরসা বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ছাব্বিশের ভোটের আগে মোদীর বঙ্গে আসা নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


Post A Comment:
0 comments so far,add yours