দক্ষিণ ভারতে তেমন শক্তিশালী সংগঠন নেই বিজেপির। নির্মলা সীতারামনকে সভাপতি নির্বাচিত করা হলে, দক্ষিণেও জোর বাড়বে বিজেপির।
ইতিহাস গড়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে এবার নির্মলা সীতারামন? শোনা যাচ্ছে আরও দুই নেত্রীর নাম
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
রাজ্য সভাপতি পেয়েছে। এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বাছাইয়ের পালা। জেপি নাড্ডার বদলে কে সভাপতি হবেন? তা নিয়ে গুঞ্জন চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। সেখানেই এবার শোনা যাচ্ছে মহিলা প্রার্থীর কথা। সূত্রের খবর, এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে কোনও মহিলা নেত্রীকে বসানো হতে পারে। এবং সভাপতি হিসাবে সবার প্রথমেই উঠে আসছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নাম।
যদি সত্যিই কোনও মহিলাকে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসানো হয়, তবে তা বিজেপির ইতিহাসে প্রথমবার হবে। গত ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেই জেপি নাড্ডার সভাপতিত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সামনেই লোকসভা থাকায়, তখন তাঁর পদের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত করা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান জেপি নাড্ডা।
সভাপতি হওয়ার দৌড়ে প্রথমেই এগিয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সম্প্রতিই তিনি জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন দলের সদর দফতরে। এরপর থেকেই গুঞ্জন। অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের দক্ষতার জন্যই নির্মলা সীতারামনকে বেছে নেওয়া হতে পারে।
দক্ষিণ ভারতে তেমন শক্তিশালী সংগঠন নেই বিজেপির। নির্মলা সীতারামনকে সভাপতি নির্বাচিত করা হলে, দক্ষিণেও জোর বাড়বে বিজেপির। এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন নির্মলা। সংঘ পরিবারের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভাল। তবে নির্মলা সীতারামনকে সর্বভারতীয় সভাপতি করলে, অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দিতে হবে অন্য কাউকে।
ডি পুরান্ডেশ্বরী-
নির্মলা সীতারামন বাদে আরও একজনের নাম সবথেকে বেশি শোনা যাচ্ছে, তিনি হলেন ডি পুরান্ডেশ্বরী। অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তিনি। একাধিক ভাষায় কথা বলতে দক্ষ তিনি। বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিশ্বে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিনিধি দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।
বনথী শ্রীনিবাসন-
আইনজীবী থেকে বিজেপি নেত্রী হন বনথী। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা বনথী ১৯৯৩ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। রাজ্য সভাপতি থেকে সাধারণ সম্পাদক, তামিলনাড়ুর উপ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে কোয়েম্বাটোর দক্ষিণের বিধায়ক বনথী। ২০২০ সালে তাঁকে বিজেপি মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি করা হয়। ২০২২ সালে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য হন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে যাকেই নিয়োগ করা হোক না কেন, তার নামে আরএসএসের সম্মতির প্রয়োজন। সূত্রের খবর, মহিলা সর্বভারতীয় সভাপতি বাছাইয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আরএসএসের তরফ থেকেই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours