শরীর সুস্থ রাখতে যেমন কসরত প্রয়োজন, তেমনই মস্তিষ্কেরও কি এমন কিছু জরুরি? এর উত্তরে বলা যায়, হ্যাঁ। ব্রেনেরও কিছু এক্সারসাইজ বা ট্রেনিং বলা যায়, কিংবা বলা ভালো কিছু অভ্যেস, যা আপনাকে মন থেকে খুশি থাকতে সাহায্য করবে।
ব্রেনের ট্রেনিং! রিলেশনশিপ মজবুত করতে এই অভ্যেস করুন...
সুখের সংজ্ঞা কী? এই প্রশ্নের বোধ হয় সঠিক কোনও উত্তর হয় না। অনেকেই বলেন, মন থেকে সুখী হওয়াটাই আসল। নিজে যদি বিশ্বাস করা যায়, সুখে কিংবা খুশি রয়েছি, সেটাই যথেষ্ঠ। হতে পারে তাই। কিন্তু মস্তিষ্কেরও তো ঠিক থাকা প্রয়োজন। একটা প্রশ্ন অনেকের মনে আসতেই পারে, শরীর সুস্থ রাখতে যেমন কসরত প্রয়োজন, তেমনই মস্তিষ্কেরও কি এমন কিছু জরুরি? এর উত্তরে বলা যায়, হ্যাঁ। ব্রেনেরও কিছু এক্সারসাইজ বা ট্রেনিং বলা যায়, কিংবা বলা ভালো কিছু অভ্যেস, যা আপনাকে মন থেকে খুশি থাকতে সাহায্য করবে। নিজের সঙ্গে এবং বাকিদের সঙ্গে রিলেশনশিপও মজবুত করবে।
সুখের নানা সংজ্ঞাই থাকতে পারে। কেউ বলতে পরেন, ভাগ্য! আবার অনেকের মতে, ভালো বা সুখের থাকার অভ্যেস ধীরে ধীরে তৈরি হয়। সচেতন ভাবেই নিজের মস্তিষ্ককে সেভাবে প্রস্তুত করা যায়। যেখানে সারাক্ষণ ইতিবাচক ভাবনাই আসে।
মনোসংযোগ বাড়াতে বা মস্তিষ্কের ব্যায়াম হিসেবে মেডিটেশন গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাঁচ মিনিটের মেডিটেশনও অনেকটা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। যা মাথা ঠান্ডা রাখতে, খুশি থাকতে এবং নিজের চাওয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা রাখতে সাহায্য করবে।
অনেকেই ‘মি’টাইমের কথা বলে থাকেন। আরও সহজ করে বললে, নিজের সঙ্গে সময় কাটানো, কথা বলা। সেখানেও অভ্যেসটা ইতিবাচক হওয়া প্রয়োজন। ভাবনা-চিন্তাগুলো যদি ইতিবাচক হয়, নেতিবাচক বিষয় সরিয়ে কীভাবে ভালো থাকা যাবে, সেটা নিয়ে ভাবা যায়, সত্যিই ভালো থাকতে সাহায্য করবে।
মানসিক ভাবে তরতাজা থাকতে শরীরের কসরতও জরুরি। শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক। শারীরীক ভাবে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তখন ইতিবাচক ভাবনা আনা কঠিন। তাই এক্সারসাইজকেও দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বানিয়ে নিতে হবে।
কথায় আছে, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস। এমন মানুষের সঙ্গেই মেশা উচিত, যাঁদের ভালোবাসেন, যাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে, ইতিবাচক এনার্জি পাওয়া যায়।
জীবনের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য রাখাও প্রয়োজন। কী চাই, এ বিষয়ে স্বচ্ছতা। তেমনই সমাজসেবা মূলক কাজ করলে বা এমন কোনও কাজ, যা সন্তুষ্টি দেয়, খুশি থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সবকিছুর সঙ্গে প্রয়োজন, পর্যাপ্ত ঘুম। দৈনিক অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তাতে সার্বিক ভাবেই ভালো থাকা সম্ভব।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours