রোজ আমায় জড়িয়ে ধরত…’, শাশুড়ি বিশ্বাসই করতে পারছেন না পছন্দ করে আনা বউমাই কোল খালি করে দিল তাঁর!



 রাজা রঘুবংশীর মা উমা রঘুবংশী বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে পছন্দ করে আনা পুত্রবধূই তাঁর কোল খালি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, "ওঁর খুব ভাল ব্যবহার ছিল। বিয়ের পর রোজ জড়িয়ে ধরত আমায়, হেসে কথা বলত।"
'রোজ আমায় জড়িয়ে ধরত...', শাশুড়ি বিশ্বাসই করতে পারছেন না পছন্দ করে আনা বউমাই কোল খালি করে দিল তাঁর!
বউমার কীর্তি বিশ্বাসই করতে পারছেন না রাজার মা।


মেয়ের বাবা বলছে, আমার মেয়ে নির্দোষ। পুলিশ মিথ্যা বলছে। আর ছেলের মায়ের দাবি, তাঁর বউমাই খুন করেছে। যাবতীয় পরিকল্পনা করে রেখেছিল বলেই সে হোটেল বুকিং করলেও, রিটার্ন টিকিট কাটেনি। তাহলে সত্যি বলছে কে?


মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ দম্পতির কেসে নতুন মোড়। জানা গিয়েছে, নববিবাহিতা সোনমই তাঁর স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। খুন করার জন্য মধ্য প্রদেশ থেকে চারজন সুপারি কিলারকে ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিল। ২২ মে থেকে নিখোঁজ ছিল সোনম ও রাজা। গত ২ জুন মেঘালয়ের একটি খাদ থেকে রাজার ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সোনমকেও কেউ হয়তো খুন করেছে। কিন্তু আজ জানা গেল, সোনমই পরিকল্পনা করে তাঁর স্বামীকে খুন করিয়েছে।


রাজা রঘুবংশীর মা উমা রঘুবংশী বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে পছন্দ করে আনা পুত্রবধূই তাঁর কোল খালি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, “ওঁর খুব ভাল ব্যবহার ছিল। বিয়ের পর রোজ জড়িয়ে ধরত আমায়, হেসে কথা বলত।”

এ দিন তিনি বলেন, “হানিমুনে যাওয়ার যাবতীয় বুকিং সোনম করেছিল। কিন্তু ও রিটার্ন টিকিট কাটেনি।” অর্থাৎ বিয়ের সময় থেকেই সোনমের পরিকল্পনা ছিল রাজাকে খুন করার।

রাজার মায়ের আরও দাবি, প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সোনা ও হিরের গহনা পরে মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়েছিল রাজা। যখন তিনি ছেলেকে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন ছেলে বলেছিল, সোনমই তাঁকে এই সোনার চেইন, ব্রেসলেট ও আংটি পরে যেতে বলেছে।



কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “যদি সোনম খুনে জড়িত থাকে, তবে ওঁকে যেন ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। পুলিশ সকালেও জানায়নি যে সোনমকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাই। যদি ওঁ (সোনম) কোনও দোষই না করে থাকে, তবে ওঁকে দোষ দেওয়া হচ্ছে কেন? যদি ওঁ আমার ছেলেকে ভালবাসত, তাহলে ওঁকে ওখানে মরতে ফেলে আসল কেন? ওঁ কীভাবে সুরক্ষিত রইল? এই ঘটনার পিছনে যারা জড়িত, তাদের সকলকে কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত।”

এদিকে, সোনমের বাবা মেয়ের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগ মানতেই নারাজ। তাঁর দাবি, মেঘালয় পুলিশ মিথ্যা বলছে। তিনি মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে নির্দোষ। দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছিল। রাজ্য সরকার (মেঘালয়) প্রথম থেকে মিথ্যা বলছে। আমরা সিবিআই তদন্ত চাইব। সিবিআই তদন্ত শুরু হলে পুলিশ স্টেশনের অফিসাররাই জেলে যাবে”।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours