নির্দেশিকা জারি হতেই বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন সহ বহু শিক্ষকদের অভিযোগ, মিড ডে মিল যে বরাদ্দ, তাতে মিড ডে মিল খাওয়ানোই দুস্কর। ছাত্র কম হলে কথাই নেই। বেশি ছাত্র দেখিয়ে মিড ডে মিল করতে হয়। সেখানে কুকুর খাবে কী করে?
এবার মিডে মিল পাবে পথ কুকুরাও, রাজ্যের জারি করা নির্দেশে উঠছে প্রশ্ন
পথ কুকুরদেরও মিড ডে মিল
এবার মিড ডে মিলের ভাগ পাবে পথ-কুকুরাও। শনিবার এমনই নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য। দিনে একবেলা অন্তত খাওয়াতে হবে পথ কুকুরদের। দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের। রাজ্য়ের এই উদ্যোগে পশুপ্রেমীরা স্বাগত জানালেও, শিক্ষকদের একাংশ তুলছেন বিভিন্ন প্রশ্ন।
মালদহে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে অর্ধনগ্ন করে মারধরের অভিযোগ, তৃণমূল বলল...
দাউদাউ করে জ্বলছে কারখানা! খিদিরপুরের পর লেলিহান আগুন জাপটে ধরল শহরতলি
আজমের থেকে এসেছিল শিয়ালদহে! সন্দেহের বশে আব্বাসের ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে রেলপুলিশের, ভাঙল বড় চক্র
নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে?
সমাজকর্মী ও পশুপ্রেমী মেনকা গান্ধীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন’ রাজ্যের স্কুলগুলির উপর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, স্কুলের সামনে যে সব পথ কুকুর আছে, তাদের মিড ডে মিল দিতে হবে। এর জন্যে দায়িত্বে থাকবেন শিক্ষকরা এবং মিড ডে মিল তৈরি করেন যাঁরা তাঁদের একাংশ। শুধু পথ কুকুরকে খাওয়ানো নয় তাদের চিকিৎসা, ভ্যাকসিনেশন সহ অন্যান্য দায়িত্ব নিতে হবে। সোমবার থেকে নির্দেশ পালন করতে হবে।
এই নিয়ে শিক্ষক সংগঠনের প্রতিক্রিয়া
নির্দেশিকা জারি হতেই বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন সহ বহু শিক্ষকদের অভিযোগ, মিড ডে মিল যে বরাদ্দ, তাতে মিড ডে মিল খাওয়ানোই দুস্কর। ছাত্র কম হলে কথাই নেই। বেশি ছাত্র দেখিয়ে মিড ডে মিল করতে হয়। সেখানে কুকুর খাবে কী করে?পাশাপাশি এই দায়িত্ব কে নেবে? একদিকে শিক্ষকের অভাব স্কুল চালানো দায়। সেখানে কুকুরদের জন্যে কোন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হবে? কে পড়াবে? এই জাতীয় নির্দেশিকার কী অর্থ?
সভাপতি, WBPTA ভুজঙ্গ সরকার বলেন, “আমাদের হেডেক বেড়ে গেল। এখন কুকুরকে খাওয়াতে আলাদা করে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে দেখছি। জানি না কী করব বুঝতে পারছি না।” মালদা চর সুজাপুর হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল তালুকদার বলেন, “সরকার বলছে তাই করতেই হবে। আমার স্কুল যথেষ্ট বড়। সেখানে মিড ডে মিল চালানো ব্যাপার নয়। বেঁচে যাওয়া খাবার আমরা তো এমনই দিতাম। এটা আলাদা করে অর্ডার বের করার কী ছিল? এখন এমনিই শিক্ষক অপ্রতুল। তার মধ্যে এটা আলাদা দায়িত্ব।”
অন্যদিকে পশু প্রেমী বিভিন্ন সংগঠন আবার এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে। স্বরুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার মনে হয় এটাই তো কর্তব্য। এটা তো হওয়া উচিত। তাতে নির্দেশিকা বের হোক বা না হোক।”
এর আগের নির্দেশিকা কী ছিল?
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রকের চিঠির ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন নির্দেশিকা দিয়ে বলেছিল, ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের সুপারিশ অনুযায়ী পথ কুকুরের কামড়ের হাত থেকে স্কুলের বাচ্চাদের রক্ষা করতে হবে ৷ পশুদের জনন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শিশুদের কাছে যাতে কুকুর যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি কুকুরদের আঘাত যাতে না করা হয় তাও নজর রাখতে হবে। সেই সময়ও শিক্ষকদের উদ্দেশে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, মিড-ডে মিল দেওয়ার সময় যাতে কুকুর পড়ুয়াদের আশপাশে না থাকে তার দিকে নজর দিতে হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours