আগে আধ বিঘা জমির মধ্যে বাগান ছিল। পরবর্তীকালে আরও বেশ কিছুটা জমি কিনে এখন প্রায় ১ বিঘা জমিতে আমের বাগান করেছেন লোচা। সেখানেই বসিয়েছেন ৬৫ রকমের আম গাছ। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন স্ত্রী, বাবাও।
আলফানসো-হিমসাগরকে বলে বলে গোল! বাংলার বাগানেই ফলছে ৩ লাখের আম
ফলছে বিশ্বের সবথেকে দামী আম
দেশি থেকে বিদেশি, কারাবাও, ভেরিগেটেড ম্যাঙ্গো, রেড আইভরি থেকে হিমসাগর, কী নেই! রয়েছে জিজিটাল পাহারাদার। সারাক্ষণ নজর রেখে চলেছে আট আটটা সিসিটিভি। বহুমূল্য জাপানের মিয়াজাকি থেকে শুরু করে আমেরিকার রেড পালমার, সব প্রজাতির আম পাবেন লোচা দেবের ফলের বাগানে। আলিপুরদুয়ারের পূর্ব ভোলারডাবরির বাসিন্দা। পেশায় রেলের কর্মী। কাজ করেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে। তাঁর বাগানেই ফলছে বিশ্বের সবথেকে মিষ্টি আম। এই বাগানেই রয়েছে বিশ্বের সবথেকে দামি আম। যার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা প্রতি কেজি।
আগে আধ বিঘা জমির মধ্যে বাগান ছিল। পরবর্তীকালে আরও বেশ কিছুটা জমি কিনে এখন প্রায় ১ বিঘা জমিতে আমের বাগান করেছেন লোচা। সেখানেই বসিয়েছেন ৬৫ রকমের আম গাছ। রেড ড্রাগন থেকে বহুমূল্য মিয়াজাকি, রেল পালমার, কারাবাও, ভেরিগেটেড ম্যাঙ্গো, রেড আইভরির মতো বিদেশি আমের সঙ্গে রয়েছে দেশের নানা প্রজাতির আম। ছেলের আগে বাগান সামলাতেন বাবা। তাঁকে দেখেই বাগানের নেশা ছেলের। লোচা দেব বলছেন, “দেশে যত ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে আমার পছন্দ তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে আম। ছোটবেলা থেকে বাবাকে আমবাগান করতে দেখেছি। সেখান থেকেই নেশা।”
ছেলের উদ্য়োগে খুশি বাবা নিরঞ্জন দেবও। তিনিও অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মী। ছেলের বাগানে বিকালে বসে থাকেন তিনি। তিনি বলছেন, “আমার তো আগে আধ বিঘা জমি ছিল। ছেলে আরও আধ বিঘা জমি কিনে মোট এক বিঘার উপর বাগান করেছে। এখন তো মরসুমে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ প্রজাতির আম ফলাচ্ছে। নিজের সন্তানের মতো করে গাছগুলিকে বড় করছে। খুবই ভাল লাগে।” লোচাকে কাজে সাহায্য করে তাঁর স্ত্রী রুপা দাস দেবও। তাঁকেও কম ঝক্কি পোহাতে হয় না। তবে স্বামীর শখে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তিনি বলছেন, “এই শখের জন্য উনি আমাদের একদম সময় দিতে পারেন না। কিন্তু এই বাগান দেখতে মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করি বাগানের কাজ করার।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours