রুই মাছে ওমেগা-৩ নামক একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃৎযন্ত্র বা হার্টের স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই মাছে চর্বির পরিমাণও কম। রুই মাছ খেলে শক্তি বাড়ে।

রসিয়ে-কষিয়ে রুই মাছ খাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনছেন মৃত্যু...
রুই মাছে বিপদ।



লখনউ: মাছ প্রেমী বাঙালি। তবে যারা মাছ খেতে ভালবাসেন, তারা এখনই সাবধান হন। মাছের সঙ্গে আপনার শরীরে কী কী ঢুকছে জানেন? শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে মাছ খাওয়া থেকেই, বিশেষ করে গঙ্গা থেকে ধরা মাছ। কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতিই ছত্রপতি শাহুজি মহারাজ কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক রুই মাছের উপরে গবেষণা করে জানতে পেরেছেন, গঙ্গায় পাওয়া রুই মাছের দেহে উচ্চ মাত্রায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, কোবাল্ট, ক্রোমিয়াম, সীসা এবং থ্যালিয়াম পাওয়া গিয়েছে।

বিভাগের প্রধান, ডিন অধ্যাপক বর্ষা গুপ্ত জানিয়েছেন, মাছ খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা উচিত কারণ এখন মাছের সঙ্গে পেটে বিভিন্ন ধরনের ধাতু ঢুকছে, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে নানা গুরুতর রোগের ঝুঁকি বা সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

রুই মাছে ওমেগা-৩ নামক একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃৎযন্ত্র বা হার্টের স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই মাছে চর্বির পরিমাণও কম। রুই মাছ খেলে শক্তি বাড়ে, ক্যানসারের মতো মারণ রোগও এড়ানো যায়। তবে এই গবেষণায় রুই মাছের উপকারিতার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিকর দিকও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

গবেষণায় জানা গিয়েছে, গঙ্গার দূষিত জলে থাকার কারণে মাছের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। গঙ্গায় সীসা, কোবাল্ট, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম এবং থ্যালিয়ামের ঘনত্ব অনেক বেশি পাওয়া গিয়েছে। এগুলিই মাছের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকছে। মাছের কিডনি, অন্ত্র, ফুলকায় এই ধাতুগুলির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours