শনিবার বিকেলে সংঘর্ষবিরতির পর রাতেই ফের সীমান্তে নানা কার্যকলাপ দেখা যায়। গতকাল সাংবাদিকদের সামনে সবটাই তুলে ধরেন ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই ও তিন বাহিনীর প্রধান। এ দিন আরও একটি প্রেস ব্রিফিং হয়। সেখানেই উদাহরণ হিসেবে বিরাট কোহলির প্রসঙ্গ ডিজিএমও-র মুখে।


পাকিস্তানের সঙ্গে 'যুদ্ধে' বিরাটের উদাহরণ টানলেন ভারতীয় সেনার DGMO, কেন?

ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনার আবহ। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা হত্যা করেছিল নিরীহ পর্যটকদের। পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন এর দায় স্বীকার করেছিল। ভারতের তরফে এর যোগ্য জবাব দেওয়া হয়। ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান নানা ভাবে বারবার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। তা রুখে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। অবশেষে সংঘর্ষবিরতিও হয়। কিন্তু শনিবার বিকেলে সংঘর্ষবিরতির পর রাতেই ফের সীমান্তে নানা কার্যকলাপ দেখা যায়। গতকাল সাংবাদিকদের সামনে সবটাই তুলে ধরেন ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই ও তিন বাহিনীর প্রধান। এ দিন আরও একটি প্রেস ব্রিফিং হয়। সেখানেই উদাহরণ হিসেবে বিরাট কোহলির প্রসঙ্গ ডিজিএমও-র মুখে।


গত কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেন বিরাট কোহলি। টি-টোয়েন্টিতে দেশের জার্সিকে আগেই বিদায় জানিয়েছিলেন। এ দিন টেস্টেও অবসর ঘোষণা করেন কিং কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট মহলে এই খবরে চূড়ান্ত হতাশা। ভারত এবং বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তিরা বিরাটের এই সিদ্ধান্তে অবাক। তবে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নানা বার্তা, শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। এ বার সেনা কর্তার মুখেও বিরাট প্রসঙ্গ।


অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সোমবার সকালে আরও একটি প্রেস ব্রিফিং করা হয়। DGMO ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান। সেই প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই বলেছেন যে বিরাট কোহলি তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার। প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা বিষয়ে কথা বলছিলেন।

একটি উদাহরণ হিসেবে বিরাট প্রসঙ্গে ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেন, ‘আমি দেখছিলাম, বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছে। বেশির ভাগ ভারতীয়র মতো বিরাট আমারও অন্যতম প্রিয় ক্রিকেটার। ৭০-র সময় আলোচিত অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড অ্যাসেজ সিরিজ প্রসঙ্গের কথা বলি। অস্ট্রেলিয়ার দুই কিংবদন্তি পেসার জেফ থমসন এবং ডেনিস লিলি ইংল্যান্ড ব্যাটিং আক্রমণকে প্রবল চাপে ফেলেছিলেন। ওদের দাপট এতটাই ছিল যে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে একটা প্রবাদ চালু হয়, অ্যাসেজ টু অ্যাসেজ, ডাস্ট টু ডাস্ট, যদি থমোর (থমসন) থেকে পার পাও, লিলির থেকে পাবে না। আমাদের ডিফেন্স সিস্টেমের স্তর নিয়েও যদি বলি, আশা করি আপনারা আন্দাজ করতে পারছেন। সব স্তর থেকেও যদি কেউ পার পায়, আমাদের সিস্টেমের একটা লেয়ার অন্তত ধরেই ফেলবে।’

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলিতে গত কয়েক বছর একটা দৃশ্য খুবই চেনা ছিল। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটিই ধরা যাক। প্রথমে ব্যাট করে ভারতকে বড় টার্গেট দিয়েছিল পাকিস্তান। অন্তত মেলবোর্নের বিশাল মাঠে ১৬০ রানের টার্গেট কখনও ছোট বলা যায় না। রান তাড়ায় মাত্র ৩১ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারায় ভারত। রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, অক্ষর প্যাটেল আউট। কিন্তু বিরাট কোহলি তখনও ক্রিজে। সেই ‘লেয়ার’ আর ভাঙতে পারেনি পাকিস্তান। অবিশ্বাস্য ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন কিং কোহলি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours