বুধবার মধ্যরাতে পতিরাম থানার মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে পার হওয়ার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওই বাংলাদেশি মহিলা। এদিন বিএসএফ ওই মহিলা ও তার ছোট শিশুকে পতিরাম থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।


এবার বাংলাদেশিদের বড় খেলা ধরে ফেলল BSF
সীমান্তে তীক্ষ্ণ নজর বিএসএফের


বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের পর উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল সন্তান সহ এক বাংলাদেশি মহিলা। বুধবার বিএসএফের তরফে ওই মহিলাকে পতিরাম থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বুধবারই ওই মহিলাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে, তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে, কী ভাবে ওই বাংলাদেশি মহিলা ভারতে প্রবেশ করেছিল, কতদিন ধরে ভারতে আছে সেই সব খতিয়ে দেখছে বিএসএফ ও পুলিশ।


ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে রাজস্থানে ঘাপটি মেরে ছিল বেআইনিভাবে ঢুকে বাংলাদেশিরা। বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্ত দিয়ে নিজের দেশে ফেরার চেষ্টা করছে। এমনই এক পরিবারের এক সদস্যাকে বাংলাদেশে পার হওয়ার সময় হাতেনাতে ধরল বিএসএফ। তবে বিএসএফের অভিযানে পালিয়ে যায় ওই মহিলার স্বামী সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

বুধবার মধ্যরাতে পতিরাম থানার মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে পার হওয়ার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওই বাংলাদেশি মহিলা। এদিন বিএসএফ ওই মহিলা ও তার ছোট শিশুকে পতিরাম থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধৃত ওই মহিলার নাম মুন্নি বেগম (২৩)। তার সঙ্গে দেড় বছরের ছোট্ট পুত্র সন্তান রয়েছে। তার স্বামী মহম্মদ জাহিদ। বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে। ওই পরিবার বছরখানেক আগে বাংলাদেশ থেকে এদেশে অনুপ্রবেশ করে। ওই মহিলা তার স্বামীর সঙ্গে রাজস্থানের জয়পুরে কাজ করত। রাজস্থানে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত শুরু হতেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ওই মহিলার ও তার স্বামী সহ একঝাঁক বাংলাদেশিরা সেখান থেকে পালিয়ে আসে। এরপর এই জেলায় এসে পতিরামের উপর দিয়ে বটুনের রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে পৌঁছয়। দালালদের মাধ্যমে সে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় বিএসএফ হাতে পড়ে। মহিলার স্বামী ও তার অন্যান্য সঙ্গী সঙ্গীরা পালাতে পারলেও বাচ্চা সহ ওই মহিলা আর পালাতে পারেনি। যার জেরে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায়। এদিকে ওই মহিলার স্বামী ও তাঁর সঙ্গীরা বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে গিয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বিএসএফ ও পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours