ফোন করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমার ভাই ভাল আছে।" রজনী উত্তর দেন, "হ্যাঁ উনি চলে এসেছেন।" মুখ্যমন্ত্রী তখন তাঁকে জানান, "হ্যাঁ আমি আপনাকে ফোন করেছিলাম সকালে।" পূর্ণমের স্ত্রী জানান, তাঁর ফোন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ফোনটা সারাতে গিয়েছিলেন তিনি। মমতা তখন বলেন, "কিন্তু আমি যখনই শুনেছি রিলিজড হয়ে গিয়েছেন, তখনই ফোন করেছি।"
'আমার ভাইয়ের জন্য অনেক শুভেচ্ছা, এবার একটু হাসিতে থাকুন', পূর্ণমের স্ত্রীকে ফোন করলেন মমতা
পূর্ণমের স্ত্রী রজনীকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর
২২ দিন পর দেশে ফিরেছেন পাক রেঞ্জার্সের হাতে আটক বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ। খবর এসেছে বাড়িতে। খুশির জোয়ার পূর্ণমের হুগলির রিষড়ার বাড়িতে। চলছে মিষ্টিমুখ। এমনি সময়েই বেজে উঠল পূর্ণমের স্ত্রী রজনীর ফোন! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ফোন করেছেন। সকালে খবর পাওয়ার পরই তিনি একবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু রজনীর ফোন খারাপ থাকায় কথা হয়ে ওঠেনি। ঘণ্টা দেড়েক বাদে আবারও ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ফোন করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার ভাই ভাল আছে।” রজনী উত্তর দেন, “হ্যাঁ উনি চলে এসেছেন।” মুখ্যমন্ত্রী তখন তাঁকে জানান, “হ্যাঁ আমি আপনাকে ফোন করেছিলাম সকালে।” পূর্ণমের স্ত্রী জানান, তাঁর ফোন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ফোনটা সারাতে গিয়েছিলেন তিনি। মমতা তখন বলেন, “কিন্তু আমি যখনই শুনেছি রিলিজড হয়ে গিয়েছেন, তখনই ফোন করেছি।”
পূর্ণমের পরিবারকে শুভ কামনা জানান তিনি। বলেন, “আমার অনেক শুভ কামনা থাকল। এবার একটু হাসিতে থাকুন। আমার অনেক শুভ কামনা থাকল ভাইয়ের জন্য।”
প্রসঙ্গত, সীমান্তের ওপারে ভুলবশত চলে গিয়েছিলেন পূর্ণম সাউ। এরপর থেকেই উৎকন্ঠায় দিন কাটিয়েছেন পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা-মা সন্তান। ফোনে এর আগেও কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারও ফোন করে পূর্ণমের স্ত্রী রজনীকে ভরসা জুগিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রজনী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ফোনে বলেছেন, যেন চিন্তা না করি, ভরসা রাখি। তিনি উচ্চপর্যায়ে কথা বলছেন। আশা করছেন, স্বামী শীঘ্রই ফিরে আসবেন। আমাদের কোনও সহায়তা প্রয়োজন কি না, তা-ও জিজ্ঞাসা করেছেন।’’
তাঁর স্বামী দ্রুত ফিরবেন, তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সকালে আবারও ফোন মুখ্যমন্ত্রী। ততক্ষণে ভারত পাকিস্তানের হাত থেকে পূর্ণমকে ফিরিয়ে এনেছে।
২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানের রেঞ্জার্সের কাস্টডিতে ছিলেন। বুধবার বেলা সাড়ে দশটায় আর্টারি সীমান্ত দিয়ে অমৃতসরে ভারতের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হল পাকিস্তান। আইজি বিএসএফ পঞ্জাব ফ্রন্ট্রেটিয়র জানালেন, আর্টারি সীমান্তে বুধবার সকালে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। তারপর পাকিস্তানের পূর্ণম সাউকে ভারতের হাতে তুলে দেয়। জানা গিয়েছে, শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন পূর্ণম। তবে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours